টেক্কা: পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পরে এ বারে রসুনের কেজি প্রতি ডবল সেঞ্চুরি। নিজস্ব চিত্র
সেঞ্চুরি করেছে পেঁয়াজ। যোগ্য সঙ্গত দিয়ে বালুরঘাটে ‘ডবল সেঞ্চুরি’ হাঁকাল রসুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে বালুরঘাটের বাজারে বাজারে প্রতি কিলোগ্রাম রসুনের দাম পৌঁছেছে ২০০ টাকায়। পেঁয়াজের সঙ্গে দুর্মূল্য রসুনে হাত পুড়েছে আমজনতার। পেঁয়াজ, রসুনের মতো দাম চড়ছে আদারও। সোমবার বালুরঘাটের তহবাজারে প্রতি কিলোগ্রাম আদা বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়।
এই সময় নতুন রসুন উঠতে শুরু করেছে। কেন এখন রসুন ২০০-এ পৌঁছল? তার উত্তর মেলেনি জেলা কৃষি বিপণন দফতরের কাছেও।
ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, এ বার মহারাষ্ট্রের নাসিকে পেঁয়াজের উৎপাদন তেমন হয়নি বলে দাম চড়েছে। কিন্তু ফি বছরের মতো এ বারেও এ মাসে মালদহের গাজলে উৎপাদিত রসুন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। রসুন আসছে বিহার থেকেও। কেন তা হলে ২০০ ছুঁল রসুন? নতুন আদাও কেন ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেড়শো টাকায় পৌঁছল?
তহবাজারে আনাজের পাইকারি বিক্রেতা শঙ্কর বসাকের বক্তব্য, ‘‘গাজল থেকে বালুরঘাটে রসুন আসছে। তবে সরবরাহ কম। যেটুকু মিলছে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে।’’ শঙ্করের মতো আনাজের আড়ত ব্যবসায়ী অজয় কুণ্ডু, পার্থ কুণ্ডুর মতো তহবাজারে অন্তত ৩০ জন পেঁয়াজ, রসুন ও আদার পাইকারি ব্যবসা করেন। তাঁরা জানান, খুচরো বিক্রেতারা প্রতি কিলোগ্রাম রসুন ১৮০ টাকায় কিনে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। রসে ভরা নতুন আদাও প্রতি কিলোগ্রাম ১২০ টাকায় কিনে খুচরো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
বৃ্ষ্টি-বন্যায় এ বারে বিহার, রাজস্থানের মতো গাজলেও রসুনের উৎপাদন কম হয়েছে বলে আড়ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। তাঁরা জানান, সপ্তাহে ৫০-৬০ কিলোগ্রাম রসুন এনে বিক্রি করতে হচ্ছে। আকাশছোঁয়া দামে পেঁয়াজের মতো রসুনের খুচরো বিক্রিও তলানিতে ঠেকেছে।
খুচরো আনাজ বিক্রেতা মদন বর্মণ, সমর কুণ্ডু বলেন, ‘‘আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কেজি রসুন বিক্রি করতাম। এখন গড়ে রোজ ২০ কেজি রসুনও বিক্রি হচ্ছে না। প্রয়োজন ছেঁটে ক্রেতারা ২০০ গ্রাম পেঁয়াজ, ৫০ গ্রাম রসুন, আদা কিনছেন।’’
শহরের বাসিন্দা জয়ন্ত সরকার বলেন, ‘‘নায্যমূল্যের দোকানে পোলট্রি মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৩০ টাকা। তার সঙ্গে পেঁয়াজ, রসুনের দামে সঙ্গতে ত্রাহি অবস্থা হচ্ছে।’’ জেলা কৃষি বিপণন দফরের সহকারি অধিকর্তা সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘রসুন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঠিক কারণ বোঝা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কোনও সরকারি নির্দেশও রাজ্য থেকে পাইনি।’’