উদ্ধার চিতা বাঘের দেহ। নিজস্ব চিত্র।
একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা ঘিরে চা়ঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগু়ড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভান্ডিগুড়ি চা-বাগানে। পূর্ণবয়স্ক ওই চিতাবাঘটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। তাদের দাবি, বিষপ্রয়োগ করে বা ন্য কোনও ভাবে হত্যা করা হয়েছে চিতাবাঘটিকে। বন দফতরের তরফে বলা হয়েছে, চিতাবাঘের দেহটি উদ্ধার করে তার ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।
রবিবার সকালে ভাণ্ডিগুড়ি চা-বাগানের ঝোপ থেকে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘটির দেহ উদ্ধার করেন চা-বাগানের কর্মীরা। প্রথমে চিতাবাঘটিকে দেখে ভয় পেলেও পরে সন্দেহ হওয়ায় বন দফতরকে খবর দেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চিতাবাঘটির মুখে গ্যাঁজলা ছিল ও তলপেটে ক্ষত চিহ্ন ছিল। তা থেকেই তাদের অনুমান, বিষপ্রয়োগ করে বা আঘাত করে মারা হয়েছে চিতাবাঘটিকে।
রবিবারের এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার নীলা রাই। চিতাবাঘটিকে হত্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন বনকর্মীরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে ভান্ডিগুড়ি চা-বাগিচার সি ব্লকে কীটনাশক স্প্রে করার কাজ করার সময়েই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করেন চা বাগানের শ্রমিকরা।