ফাইল ছবি
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পিছিয়ে দেওয়া হল চার জায়গার পুরনির্বাচন। ২২ জানুয়ারির বদলে ভোট পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ১২ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু নির্বাচনী প্রচার একেবারে শেষ পর্যায়ে এসেছিল। হাতে গোনা আর মাত্র পাঁচদিন ছিল নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়ায় প্রার্থীদের কি সুবিধা হল?
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ নির্ধারিত তারিখে বা পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হোক তাতে খুব একটা ফারাক পড়বে না। আমরা আগেও প্রস্তুত ছিলাম আজও প্রস্তুত আছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আদালতের রায় মেনে এবং করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রস্তুত বামেরা।’’ তবে অশোক বাবুর সাফ বক্তব্য, ‘‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কোন ভাবেই শাসক দলের তাবেদারি করা চলবে না।’’
অন্য দিকে, শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রাক্তন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের নেতা গৌতম দেব বলেন, ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য নেই। মাননীয় হাইকোর্ট, নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের সম্মতিতে এই তিনের যোগফলে নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি হবে। এতে কতটা সুবিধে হল তা সময় বলবে।’’
এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘ আমার ব্যক্তিগত মত নির্বাচন হোক। কিন্তু মানুষের প্রাণ সংশয় করে নির্বাচন হওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠে না।’’ তাঁর মতে, ‘‘নির্বাচন যত পিছবে, মিছিল, দরজায় দরজায় প্রচারের সংখ্যা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে।’’