হত্যার প্রতিবাদে পথে বাম

ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি পরেশ অধিকারী বলেন, “একটি খুনের ভিডিও করে তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছেড়ে দেওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা ভাবা যায় না। ওরা ক্ষমতায় এলে কি হতে পারে তা মানুষের জানা দরকার।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আফরাজুল হত্যাকাণ্ডকে সামনে রেখে পঞ্চায়েতে নির্বাচনে বিজেপিকে পিছনে ফেলতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামল বামেরাও। ইতিমধ্যেই শহরে মিছিল করেছেন তাঁরা। গ্রামে গ্রামেও ওই হত্যাকাণ্ডকে সামনে রেখে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬ জানুয়ারির কোচবিহারে জনসভা করবেন মহম্মদ সেলিম।

Advertisement

ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি পরেশ অধিকারী বলেন, “একটি খুনের ভিডিও করে তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছেড়ে দেওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা ভাবা যায় না। ওরা ক্ষমতায় এলে কি হতে পারে তা মানুষের জানা দরকার।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মহানন্দা সাহা বলেন, “তৃণমূলের অপশাসনের সুযোগ নিয়ে বিজেপি সংগঠন বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী হতে পারে তা মানুষের কাছে তুলে ধরছি আমরা।”

গত লোকসভা উপনির্বাচনে কোচবিহারে বামেদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় বিজেপি। এ বার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বিজেপিকে পিছনে ফেলতে তাই মরিয়া বামেরা। আফরাজুল হত্যাকাণ্ডের ভিডিও তাঁদের হাতে রসদ জুগিয়েছে বলে মনে করছেন বাম নেতাদের কয়েকজন। এক বাম নেতা বলেন, “এখন পরিস্থিতি অন্যরকম। বিজেপি সম্পর্কেও ধারণা পাল্টাতে শুরু করেছে। এটাই মানুষের কাছে যাওয়ার সময়।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “ওই ঘটনার পিছনে ত্রিকোণ প্রেম রয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে হইচই করে লাভ নেই। মানুষ সব বোঝেন।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বাংলায় বিজেপির স্থান নেই। ওই ঘটনায় মানুষ আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement