স্কুলের মাঠ দখল নিয়েছে ঠিকাদারের বালি স্টোনচিপ। নিজস্ব চিত্র।
মালদহের চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশন (উচ্চ মাধ্যমিক)-এর খেলার মাঠ এখন প্রায় বেদখল হওয়ার পথে। মাঠের এক দিকে জমা রয়েছে বালি স্টোনচিপ। আর কিছু অংশের দখল নিয়ে তৈরি হয়েছে অটো টোটো স্ট্যান্ড। স্কুলের তরফে বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন প্রাতঃভ্রমণে আসা স্থানীয় মানুষও। ক্ষোভ জমছে সমাজের নানা স্তরে।
চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র রায়বাহাদুর এলাকায় শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৮৮৮ সালের ১৬ অগস্ট গড়ে তোলেন এই স্কুল। মা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর নামে স্কুলের নাম রাখেন। বর্তমানে স্কুলটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নিত হয়েছে। ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি এই স্কুলের এক অনুষ্ঠানে আসেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই মাঠেই সেই উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয়েছিল।
ঘন বসতির চাঁচল শহরে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ শহরবাসীর কাছে যেন এক টুকরো ফুসফুস। প্রতিদিন সকালে শিশু কিশোর থেকে প্রবীণ নাগরিকরা পৌঁছে যান এখানে। কেউ ব্যাট বল নিয়ে নেমে পড়েন, তো কেউ শিশির ভেজা মাঠে কয়েক পাক ঘুরে বেড়ান। কিন্তু গত ৩-৪ মাস ধরে ধীরে ধীরে সেই ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে। মাঠ কার্যত ঠিকাদারদের দখলে চলে গিয়েছে । মাঠের উপর বিনা অনুমতিতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বালি স্টোনচিপের মতো নির্মাণ সামগ্রী। তারই পাশে আবার হঠাৎ করে গজিয়ে উঠেছে একটি গাড়ির স্ট্যান্ড। সেখানে সারাদিন ভ্যান অটো টোটো দাঁড়িয়ে থাকছে। এমনকি স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঠে নানা অবৈধ কারবারও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর ৯ দিন পর উলেনের দেহ পেল পরিবার
আরও পড়ুন: সাঁতরাগাছি ঝিলের ধারে পুড়ছে প্লাস্টিক, মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে পরিযায়ী পাখির দল
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল হক জানিয়েছেন, কেউ তাঁদের কাছে কোনও অনুমতি নেয়নি মাঠে এই সব সামগ্রী রাখার জন্য। এমনকি মাঠের এক প্রান্তে নোটিশ বোর্ড ঝোলানো রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল, বিনা অনুমতিতে মাঠ প্রাঙ্গণে যদি কেউ জিনিসপত্র রাখেন তবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। কিন্তু সেই নির্দেশকে অমান্য করেই মাঠ দখল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মহকুমা শাসক ও বিডিও-কে বহু বার জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।