roza

রোজায় খেজুর কেনারও পয়সা নেই, আর্তি রাজস্থানে

অভিযোগ, বার বার আবেদন করেও ফল মেলেনি।

Advertisement

মেহেদি হেদায়েতুল্লা

গোয়ালপোখর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০৬:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি

লকডাউনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ত্রাণ পাননি রাজস্থানে আটক উত্তর দিনাজপুরের শ্রমিকেরা। অভিযোগ, বার বার আবেদন করেও ফল মেলেনি।
তাঁরা জানান, জমানো টাকা ফুরিয়েছে। কখনও রুটি, কখনও মুড়ি-জল খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানির কাছে ভিডিয়ো বার্তায় তাঁদের আর্জি— ‘‘দ্রুত কোনও ব্যবস্থ্যা না করলে না খেয়ে মরতে হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া ও ইসলামপুর ব্লক মিলিয়ে যোধপুরে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক আটকে। কেউ রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, কেউ হোটেলে রান্না, কেউ কারখানায় কাজ করেন। লকডাউনে তাঁদের সবার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
গোয়ালপোখরের মতিলালের বাসিন্দা জামালুদ্দিন বলেন, ‘‘এক বার খাদ্যসামগ্রী মিলেছিল। দু’দিনে শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন রোজা চলছে। কিন্তু দুটো খেজুর কেনারও পয়সা নেই। বিধায়কের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলাম। উনি ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পের অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেন। কিন্ত আমার স্মার্টফোনই নেই। তা হলে কী হবে?’’
কুটুমবাসার হাজিরুল ইসলাম ফোনে জানান, ‘‘জানি না সরকার আমাদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করছে কিনা। কত দিন এ ভাবে চলব?’’
চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর) বলেন, ‘‘রাজ্যের সব বিধায়ক, সাংসদেরা যদি ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হন তা হলে ভিন্ রাজ্যে থাকা বেশিরভাগ শ্রমিকের কাছে খাদ্য ও রসদ পৌছে যাবে।’’
গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘রাজ্যে সরকারের তরফে অন্য রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়েছেন। স্নেহের পরশ প্রকল্প চালু করেছেন। আটকে পড়া শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁদের এ রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে আলোচনা চলছে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক দিল্লি, মুম্বই, কেরল, রাজস্থান, তামিলনাড়ু-সহ বিভিন্ন রাজ্যে আটকে রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement