Alipurduar

বাড়ি ফিরতেই গ্রেফতার কুন্দন, অবৈধ পাথরের ব্যবসার অভিযোগ

খাদান থেকে অবৈধভাবে বালি-পাথর তোলার অভিযোগে দিন কয়েক আগে বন ও ভূমি সংস্কার দফতরকে সঙ্গে নিয়ে বীরপাড়ায় পাগলি নদী এলাকায় একাধিক নির্মাণে হানা দেয় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৩৮
Share:

গ্রেফতার করার পরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কুন্দনকে। নিজস্ব চিত্র

অবৈধ বালি-পাথরের কারবার ও বেআইনি পাথর ভাঙার কল চালানোর অভিযোগ বীরপাড়া থানায় এফআইআর দায়ের হতেই নেপাল চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাকার প্রয়োজনে, ফের সে দেশ থেকে বাড়িতে ফেরার চেষ্টাই কাল হল তাঁর। শনিবার ভোরে বীরপাড়ার কাছেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন মাদারিহাটের প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামার ভাই কুন্দন লামা ওরফে কুন্দন তামাং। এ দিনই তাঁকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। কুন্দন গ্রেফতার হতেই গোটা বীরপাড়া জুড়ে অবৈধ বালি-পাথরের কারবার-সহ নানা বেআইনি কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে সঞ্জয়কেও গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “অবৈধ বালি-পাথরের কারবার ও বেআইনি পাথর ভাঙার কল চালানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বীরপাড়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”

খাদান থেকে অবৈধভাবে বালি-পাথর তোলার অভিযোগে দিন কয়েক আগে বন ও ভূমি সংস্কার দফতরকে সঙ্গে নিয়ে বীরপাড়ায় পাগলি নদী এলাকায় একাধিক নির্মাণে হানা দেয় পুলিশ। যার মধ্যে একটি পাথর ভাঙার কলও ছিল। বন দফতরের জমিতে তৈরি সেই কলটি কুন্দন চালান বলে পুলিশ অভিযোগও পায়। সে সঙ্গে পাগলি নদীর গা ঘেঁষে তৈরি দু’টি নির্মাণ নিয়ে নোটিস জারি করা হয়। সেগুলি সঞ্জয়ের বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, সেখান থেকেই বেআইনি বালি-পাথরের কারবার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যদিও প্রথম থেকেই সঞ্জয় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। কিন্তু পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযানের দিনই বীরপাড়া থানায় কুন্দনের নামে এফআইআর দায়ের হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, থানায় এফআইআর দায়েরের পরেই নেপালে পালিয়ে যান কুন্দন। কয়েক দিন সেখানেই গা ঢাকা দিয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু টাকার দরকার হওয়ায় শুক্রবার রাতে বীরপাড়ায় আসেন। তার পরে বেশ কয়েক ঘণ্টা জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে এ দিন ভোরে নিজের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গোপন সূত্রে কুন্দনের বীরপাড়ায় আসার খবর পেয়ে ভোর রাতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এ দিন আদালতের বাইরে কুন্দন শুধু বলেন, “বালি-পাথরের কারবার নিয়েই পুলিশ আমায় গ্রেফতার করেছে।”

মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গার দাবি, “গোটা বীরপাড়া জুড়ে অবৈধ বালি-পাথরের কারবার-সহ বেআইনি সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন সঞ্জয় লামা। তাই পুলিশের উচিত তাঁকেও গ্রেফতার করা।” এ দিন সঞ্জয়ের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেওতাঁকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে নতুন কোনও অভিযোগ নেই। পুরনো কিছু মামলায় আগে থেকেই জামিনে রয়েছেন তিনি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বেআইনি কাজ দল বরদাস্ত করে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement