ধসে নদীখাত বন্ধ হয়ে তৈরি হয়েছে জলাধার। বিপুল পরিমাণে জল জমতে শুরু করায়, যে কোনও মুহূর্তে সেই জলাধার ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শনিবার দুপুরে পাহাড় থেকে পাথর-মাটি গড়িয়ে পরে আটকে দিয়েছে উত্তর সিকিমের কানকা নদীর প্রবাহ। হঠাৎ তৈরি হওয়া মাটি-পাথরের দেওয়ালের পেছনে জমতে শুরু করেছে নদীর জল। জলের চাপ কতক্ষণ সেই দেওয়াল সামলাতে পারবে তা নিয়েই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। দেওয়াল ভেঙে পড়লে বিপুল জল একসঙ্গে আছরে পড়ে তৈরি করতে পারে বন্যা পরিস্থিতি। কানকা নদী তিস্তার একটি উপনদী। সে কারণে কানকায় তৈরি হওয়া জলাধার ফেটে গেলে বিপর্যয় হতে পারে দার্জিলিং জেলা সহ সমতলের কিছু এলাকাতেও।
এ দিন দুপুরেই দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সিকিমের জলাধার ভেঙে পড়লে সেই জল গড়িয়ে নীচে নামতে অন্তত ঘণ্টা তিনেক সময় লাগবে। সে সময় নদীর চরে অথবা একেবারে লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’’ উত্তর সিকিমের কানকা নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।