পুজো আসছে...
Dinhata

প্রতিপদেই পুজো কামতেশ্বরী মন্দিরে

মন্দিরের প্রধান সেবায়েত কালীনাথ ঝা, পরিতোষ ঝা জানান, রাজ আমলের নিয়ম মেনে প্রতিপদের দিন মন্দির প্রাঙ্গনে ঘট  বসিয়ে জোড়া পায়রা বলি দিয়েই পুজোর সূচনা হয়।

Advertisement

সুমন মণ্ডল 

দিনহাটা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৪৩
Share:

সাজ: পুজোর আগে রংয়ের প্রলেপ। কামতেশ্বরী মন্দিরে। নিজস্ব চিত্র

দিনহাটা-সহ জেলার অন্যতম প্রাচীন দুর্গাপুজো গোসানিমারি কামতেশ্বরী মন্দিরের পুজো। রাজ আমল থেকেই মহালয়ার পরদিন থেকে এখানে ঘট বসিয়ে পুজো হয়। দুর্গাপুজোর জন্য মন্দিরে নেই কোনও আলাদা মূর্তি। তবে, বাসিন্দাদের কথায়, মন্দির থেকে হারিয়ে গিয়েছে সেই পুরনো জৌলুস। জানা যায়, ১৬৬৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা প্রাণনারায়ণ স্বপ্নাদেশে গোসানিমারি মন্দির তৈরি করেন। তখন থেকেই দুর্গাপুজা হয়ে আসছে এখানে।

Advertisement

মন্দিরটি কোচবিহার দেবত্র ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণে। মন্দিরের প্রধান সেবায়েত কালীনাথ ঝা, পরিতোষ ঝা জানান, রাজ আমলের নিয়ম মেনে প্রতিপদের দিন মন্দির প্রাঙ্গনে ঘট বসিয়ে জোড়া পায়রা বলি দিয়েই পুজোর সূচনা হয়। দুর্গাপুজোর জন্য কামতেশ্বরী মন্দিরে আলাদা করে কোনও দেবী মূর্তি হয় না। গোসানিমারী কামতেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত পরিবারের সদস্য তথা শিক্ষক প্রদীপ ঝা বলেন, ‘‘এটি জেলার অন্যতম প্রাচীন পুজো। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার নির্ঘণ্ট মেনে পুজো হয়। রাজ আমলের প্রাচীন এই মন্দিরের পুজোয় ২২ জায়গার জল ও মাটি ব্যবহৃত হয়। স্থায়ী মূর্তি থাকায় এখানে কলাবউ ও পুজো সামগ্রী নৌকায় করে মানসাই নদীতে সাত পাক ঘুরিয়ে বিসর্জন হয়।’’

রাজ আমলের জাঁক-জমক এখন আর সে ভাবে চোখে না পড়লেও এই পুজো দর্শনের পরই শুরু হয় অন্য প্রতিমা দর্শন। সেই রীতি আজও চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement