ফেরা: ‘পদ্মশ্রী’ কামলি সোরেন মালদহ টাউন স্টেশন থেকে গাজলের পথে। মালদহে শুক্রবার। ছবি: স্বরূপ সাহা।
মোটরবাইক র্যালি থেকে আদিবাসী নাচ, ‘পদ্ম’ সম্মান পেয়ে ফিরে শুক্রবার এ ভাবেই গাজলের কমলি সোরেনকে স্বাগত জানাল সঙ্ঘ পরিবার। সংবর্ধনা, শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত গাজলের কোটালহাটি গ্রামের বাসিন্দা ‘গুরুমা’ কমলি সোরেন। রাজনীতির জন্যই সঙ্ঘ পরিবার তাঁকে নেত্রীর মতো করে স্বাগত জানিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। যদিও রাজনীতির কোনও বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন সঙ্ঘের কার্যকর্তা। সরাসরি রাজনীতিতে নামা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কমলি।
আদিবাসী প্রধান গাজলের কোটালহাটি গ্রামে আশ্রম রয়েছে কমলির। তিনি ‘গুরুমা’ নামে পরিচিত গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, খ্রিষ্টান আদিবাসীদের হিন্দু ধর্মে ফেরানোই লক্ষ্য কমলির। তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ খেতাব দিয়েছে কেন্দ্র। কোভিড আবহে গত বছর এই অনু্ষ্ঠান হয়নি। এ বারে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘পদ্ম’ সম্মান দেওয়া হয় কমলিকে।
এ দিন দিল্লি থেকে মালদহ আসেন তিনি। তাঁকে মালদহ টাউন স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলে সংবর্ধনা দেন সঙ্ঘে পরিবারের সদস্যেরা। এর পরে দুধ সাদা রঙের গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গাজলে। পিছনে সঙ্গী হয় মোটরবাইক র্যালি আর রাজনৈতিক নেতানেত্রীর মতো গাড়ি থেকে হাতও নাড়েন কমলি। তিনি বলেন, ‘‘সংবর্ধনা, শুভেচ্ছা পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। মানুষের জন্য কাজ করতে আমাকে আরও উৎসাহ জোগাবে।’’
গাজলে পৌঁছে ফের সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা সংবর্ধনা দেন তাঁকে। আদিবাসী নাচের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় কমলিকে। ফের র্যালি করে কাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর আশ্রমে। সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে কমলিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের মালদহের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘‘পুরোটাই বিজেপি, আরএসএসের রাজনীতি। রাজনীতির জন্য সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের পদ্ম সম্মান দিচ্ছে কেন্দ্র।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা সবকিছুতেই রাজনীতি দেখেন।” তবে রাজনীতি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কমলিও।