আতশবাজির সঙ্গে পুড়ল শব্দবাজিও। নিজস্ব চিত্র।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীপাবলির সন্ধ্যা নামতেই দেদারে ফাটলো বাজি। এটাই চিত্র জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার। সব জায়গা থেকেই একই রকম খবর মিলেছে।
পুলিশ লাগাতার অভিযান চালিয়েও বাজি ফাটানো পুরোপুরি বন্ধ করতে পারল না। সেটা মেনেও নিয়েছে পুলিশ। জলপাইগুড়ির শহরের পাশাপাশি, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা, গয়েরকাটা-সহ সব জায়গাতেই শনিবার সন্ধ্যা নামার পর থেকেই শব্দ বাজির আওয়াজ পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, বানারহাট, ধূপগুড়ি, নাগরাকাটা থানায় বসেও পাওয়া যায় বাজির আওয়াজ।
এই পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশ এত অভিযান চালানোর পরেও কী করে এত বাজি ফাটছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দীপাবলীর দিনেই ধূপগুড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার বাজি, পটকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে।
কালীপুজোর সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, "সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি বাজি পটকা ফাটানো। তবে পুলিশ নিয়মিত ভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জেলায় তিনটি মামলা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। আমরা মানুষকে সচেতন করার উপর জোর বেশি দিয়েছি। গোপনে কোথাও কোথাও মানুষ বাজি পটকা ফাটাচ্ছেন। তবে পুলিশ সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।"