নিজস্ব চিত্র।
কালীপুজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জের ভ্রামরী দেবীর মন্দিরে। এ বার সমস্ত সরকারি বিধিনিষেধ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
ধূপগুড়ি ব্লকের শালবাড়ি এলাকার এই ভ্রামরী দেবীর মন্দিরের পরিচিতি গোটা উত্তরবঙ্গ রয়েছে। বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গলের মাঝে ভ্রামরী দেবীর মন্দির। মন্দিরকে অনেকটা সাপের মতো পেঁচিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। ৫১টি শক্তিপীঠের সব ক’টির পরিচয় যথাযথ ভাবে থাকলেও জলপাইগুড়ির ত্রিস্রোতা পীঠের নিখুঁত অবস্থানগত বর্ণনা পাওয়া যায় না। একাংশের দাবি, ত্রিস্রোতা নদীর ধারে শালবাড়িতে ভ্রামরী দেবীর মন্দির একান্ন পীঠের অন্যতম। বিশ্বাস, এখানে দেবীর বাঁ পা পড়েছিল। কারও কারও দাবি, বিশেষ বিশেষ দিনে রাতের দিকে মন্দির থেকে নূপুরের শব্দও নাকি শোনা যায়!
স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রশাসন নজর দিলে কামাখ্যা বা কালীঘাটের মতো প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান হতে পারত ভ্রামরী দেবীর মন্দির। তবে প্রায় সারা বছর ধরেই ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই মন্দিরে পুজো-মানত করতে আসেন। এলাকার বিধায়ক থাকাকালীন মিতালি রায় এই মন্দিরের উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর উদ্যোগে মন্দির প্রাঙ্গণ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হয়। করা হয় জলের ব্যবস্থাও। তবে পুজোর সময় চাঁদা জন্য কারও কাছে হাত পাততে হয় না। সকলেই নিজের ইচ্ছায় এসে অর্থ দান করেন। আজও ভ্রামরী দেবীর মন্দিরে বলি প্রথা প্রচলিত রয়েছে।
পুজোর উদ্যোক্তা হিরু রায় বলেন, ‘‘সরকারি বিধিনিষেধ মেনে পুজোর আয়োজন চলছে। সে রকম বড়ো করে পুজার আয়োজন করা না হলেও এখানে গভীর রাত পর্যন্ত পুজো হয়। আজও বলি প্রথা পালিত হয় এখানে। কিন্তু কবে থেকে এই পুজো শুরু হয়েছে, আমরা জানি না।’’