কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফাইল চিত্র।
বিনয় মিশ্রের প্রসঙ্গ টেনে ভাইপোকে বিঁধলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শনিবার বিকেলে মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে নাম না করে অভিষেককে নিশানা করে কৈলাস বলেন, ‘‘বিনয় ভাইপোর ডান হাত। আর ডান হাতে সূচ বিঁধলে ব্যথা তো হবেই।” গরু, কয়লা পাচার নিয়ে রাজ্যের ২০ জন আইপিএস, আইএএস যুক্ত রয়েছেন বলে দাবি কৈলাসের।
এ দিন কৈলাস বলেন, “সেই অফিসারদেরও গ্রেফতার হতে হবে।” তৃণমূলের অনেকেই যোগাযোগ করলেও গরু, কয়লা পাচারকারীদের দলে নেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী মৌসম নুর বলেন, “বিভ্রান্তি ছড়াতে বিজেপির নেতারা বাংলায় আসছেন। তাঁদের নেতাদের পোশাকের দামও সবাই জানেন। বিজেপির কুৎসার জবাব বাংলার মানুষই দেবেন।”
এ দিন মালদহের কর্মসূচিতে কৈলাস যোগ দেন বিকেল ৫টা নাগাদ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বিমানে বাগডোগরা এসে সেখান হেলিকপ্টারে মালদহে আসেন তিনি। ত্রিপুরা থেকে হেলিকপ্টারটি আসতে দেরি করায় কৈলাসের মালদহে পৌঁছতে দেরি হয়। সে জন্য মালদহে কয়েকটি কর্মসূচিতে তিনি যোগ দিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
রাজ্যে কাটমানির সরকার চলছে বলে কটাক্ষ করে বৈঠকে কৈলাস বলেন, “বাংলায় কাটমানির সরকার চলছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই কমিশন নেওয়া হয়।” দেড় জনের সরকার চলছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, “দেড় জনের মধ্যে একজন দিদি, আর হাফ হলেন ভাইপো। আর তাতে তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীরাও অসন্তুষ্ট হয়ে আমাদের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তবে কয়লা, গরু পাচারকারীদের দলে নেওয়া হবে না।” কৈলাস আরও বলেন, “দিদি সস্তার শাড়ি, চপ্পল, গাড়ি ব্যবহার করছেন। আর ভাইপোর চশমার ফ্রেমের দাম, ২৫ লক্ষ টাকা।”