সার্কিট বেঞ্চের নির্মাণকাজ দেখলেন দুই বিচারপতি। ছবি: অর্জুন ভট্টাচার্য।
আগামী বছর জুন-জুলাই মাসের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোয় আদালতের কাজ শুরু করা যাবে। এমনটাই মনে করছেন হাই কোর্টের অন্যতম দুই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ও শম্পা সরকার। শনিবার জলপাইগুড়িতে হাই কোর্টের সার্কিটের স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণকাজ ঘুরে দেখেন তাঁরা। প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। নির্মাণকাজ কাজ দেখে তাঁরা সন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে।
স্থায়ী পরিকাঠামোর জমি সংক্রান্ত কোনও জটিলতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন দুই বিচারপতি। স্থায়ী পরিকাঠামোর মোট জমির পরিমাণ ঠিকঠাক আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আগামী ৩০ নভেম্বর জমি জরিপ করা হবে বলে আইনজীবীদের সূত্রে খবর। ওই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার মোট ৪০.০৮ একর জমি দিয়েছিল। এই জমি দখল ও জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগও উঠেছিল বিভিন্ন সময়ে।
জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুর মোড়ের কাছে, জাতীয় সড়কের ধারে গড়ে উঠছে স্থায়ী সার্কিট বেঞ্চ। এ দিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন বিচারপতিরা। স্থায়ী পরিকাঠামোর জন্য দু’টি ‘সার্ভিস রোড’ তৈরি করা খুবই জরুরি বলে জানা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে পূর্ত দফতরকে দিয়ে সার্ভিস রোড তৈরি করা হবে। স্থায়ী পরিকাঠামো সংলগ্ন জাতীয় সড়কের জমির উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার সরিয়ে ফেলার জন্যও দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। স্থায়ী পরিকাঠামো লাগোয়া এলাকায় কোথাও যেন কোনও অবৈধ নির্মাণ গড়ে না ওঠে সে ক্ষেত্রেও নজর রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দুই বিচারপতির সঙ্গে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যও ছিলেন।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘আশা করছি, আগামী জুন-জুলাই মাসের মধ্যেই স্থায়ী পরিকাঠামোর উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। নির্মাণকাজ খুবই দ্রুত গতিতে চলছে।’’ বিচারপতি শম্পা সরকার বলেন, ‘‘সার্ভিস রোড তৈরি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তেমন সমস্যা নেই। আইন মেনেই সব করা হবে।’’