বাড়ছে ঘাটতি, বন্ধ জয় রাইড

যাত্রীর অভাবে পুরোপুরি মার খেয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি থেকে রংটং পর্যন্ত ইভনিং জঙ্গল সাফারি।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৯ ০৬:৩২
Share:

পরিষেবায় প্রশ্ন: এই সাফারি বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেছে ডিএইচআর আধিকারিকেরা। ফাইল ছবি

পাহাড়ের টয় ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়। সমতলে মাছি তাড়াচ্ছিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের জয় রাইড— ‘ইভনিং জঙ্গল সাফারি’। তার জেরে প্রায় এক মাস হল বন্ধ করে রাখা হয়েছে ওই ট্রেনটির পরিষেবা। অল্প যাত্রীর জন্য কয়লায় ট্রেন চালানো পোষাচ্ছে না রেলের। পর্যাপ্ত ডিজেল ইঞ্জিন না থাকার জন্য অল্প যাত্রী নিয়েও চালানো যাচ্ছে না সান্ধ্য সাফারি। স্বাভাবিক ভাবেই ট্রেনটির ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। রেলের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পুজোর সময় আরও কিছু বাড়তি ডিজেল ইঞ্জিন চলে আসবে।

Advertisement

পাহাড়ে দার্জিলিং-ঘুম শাখায় রোজ ৯টি করে ট্রেন চলার কথা। কিন্তু এখন লাভজনক ওই রুটে শাখায় পর্যটনের ভরা মরসুমে রোজ ন’টির বেশিও ট্রেন চালানো হচ্ছে বলে ডিএইচআর সূত্রে খবর। কিন্তু যাত্রীর অভাবে পুরোপুরি মার খেয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি থেকে রংটং পর্যন্ত ইভনিং জঙ্গল সাফারি। গত বছর শীতের মরসুমে ওই জয়রাইড চালানো শুরু করেছিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (ডিএইচআর)। ডিএইচআর অধিকর্তা এম কে নার্জারি বলেন, ‘‘আমরা ডিজেল ইঞ্জিনগুলি মূলত পাহাড়ের জয় রাইডগুলিতে চালাচ্ছি। সেখানে এত বেশি যাত্রী হচ্ছে, মাঝেমধ্যেই রোজ ১১টি পর্যন্ত ট্রেন চালাচ্ছি আমরা। কিন্তু সমতল থেকে রংটংয়ের ট্রেনটিতে যাত্রী হচ্ছে না।’’

ডিজেল ইঞ্জিন চালাতে ৪ জন কর্মী লাগে। কিন্তু কয়লার ইঞ্জিন চালাতে ৭ জন কর্মী ছাড়াও জ্বালানি খরচ অনেক বেশি লাগছে। তার জেরে যাত্রীর অভাবে ইভনিং জঙ্গল সাফারি ডিজেল ইঞ্জিন দিয়েও চালানো হচ্ছিল। কিন্তু কম যাত্রীর জন্য তা চালাতে চাইছে না রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, একদিকে বেশি যাত্রী হচ্ছে, সবগুলি ইঞ্জিন কাজে লাগাতে হচ্ছে। অন্যদিকে, যাত্রী নেই অথচ পরিষেবা চালাতে হচ্ছে। এভাবেই কয়েক মাস চালানো হয়েছে। কিন্তু এরপর চালালে ঘাটতি বেড়ে যাবে। তার জেরেই গত একমাস থেকে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে ইভনিং জঙ্গল সাফারি।

Advertisement

রেলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, যদি একসঙ্গে অনেক যাত্রী আসে, তবেই ট্রেনটি সেই দিনের জন্য আবার চালানো হবে। প্রথমের দিকে কিছু যাত্রী হচ্ছিল শিলিগুড়ি-রংটং-শিলিগুড়ি রাউন্ড আপ ট্রিপে। কিন্তু গত কয়েক মাসে দু’টি কামরা মিলিয়ে সর্বোচ্চ সাতজন যাত্রী নিয়েও রওনা হচ্ছিল ট্রেনটি। এই ঘাটতি নিয়মিত ভাবে চালানো যাবে না বলেই কাটিহার ডিভিশনের তরফেও জানানো হয়েছিল ডিএইচআর কর্তৃপক্ষকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন পরে বার্ষিক প্রায় বাড়লেও ফাঁকা ট্রেন চালানো একেবারেই যাবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement