চোপড়ার গণপিটুনিকাণ্ডে ধৃত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। —ফাইল চিত্র ।
চোপড়ার গণপিটুনি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। তবে এখনও ‘সন্ত্রাস’ অব্যাহত চোপড়া থানা এলাকার লক্ষ্মীপুরে। অভিযোগ, জেসিবি পুলিশি হেফাজতে থাকলেও এলাকার মানুষকে ক্রমাগত ধমকাচ্ছেন তাঁর ভাই এবং শাগরেদরা। এমনটাই দাবি তুলেছেন স্থানীয় বিরোধী নেতারা। তাঁদের দাবি, এলাকায় ক্রমাগত সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছেন জেসিবির ভাই গির আলম। তাঁর হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। সোমবার জেসিবির ‘বিচার পদ্ধতি’র পুরনো একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে এক যুবক এবং এক যুবতীকে দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করছেন জেসিবি (যদিও ওই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। বিরোধীদের দাবি, ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের বাড়িতে গিয়েও হুমকি দিয়েছেন জেসিবির ভাই।
রবিবার দুপুরেই তৃণমূলের চোপড়ার নেতা তাজিমুল ওরফে জেসিবির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন জেসিবি। তবে সোমবার ওই নির্যাতিতা তরুণী দাবি করেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া মারধরের ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল করা হয়েছে। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় তাঁর সম্মানহানিও হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, হুমকির মুখে পড়েই নিজের বয়ান বদলেছেন ওই নির্যাতিতা।
এ প্রসঙ্গে চোপড়ার কংগ্রেস সভাপতি মাসিরুদ্দিন বলেন, ‘‘আগে দড়ি দিয়ে বেঁধে যাঁদের মারধর করা হয়েছিল, রাতে তাঁদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। জেসিবির এক ভাই গির আলম এই কাজ করছে। ও মানুষজনকে ধমকাচ্ছে। জেসিবি, গির আলম, মেহবুব এখানকার ত্রাস। ওদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে।’’ লক্ষ্মীপুরের যে তরুণীর উপর নির্যাতন হয়েছে, তাঁকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মাসিরুদ্দিন।
অন্য দিকে, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘কেউ কাউকে ভয় দেখাচ্ছে না। কাউকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। নির্যাতিতা যদি মনে করেন যে ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় তাঁর সম্মানহানি হচ্ছে, তা হলে তা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।’’