Ramakrishna Mission Incident

জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ

জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন। শিলিগুড়ি পুলিশের তৈরি করা স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ প্রদীপকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ ০৯:২৮
Share:

রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় গ্রেফতার। — নিজস্ব চিত্র।

ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহ পর জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই প্রদীপের খোঁজে তল্লাশি চলছিল। ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)।

Advertisement

এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট ন’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আগেই আট জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত প্রদীপও।

অবশেষে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলায় গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত প্রদীপ। প্রদীপের খোঁজে বেশ কিছু দিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে করা অভিযোগে প্রদীপ রায়ই ছিলেন ঘটনার অন্যতম পাণ্ডা। তাঁর নেতৃত্বেই চলে গোটা কর্মকাণ্ড। এই ঘটনা নিয়ে সাড়া পড়ে যায় ভোটের পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পর একের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছিল পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ অধরা ছিলেন। প্রদীপের সঙ্গে পুলিশের একাংশের আঁতাঁতের অভিযোগও উঠেছে একাধিক বার। এ বার সেই প্রদীপই পুলিশের জালে। সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসওজি জলপাইগুড়ি জেলার কোনও জায়গা থেকে প্রদীপকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার হাতে তুলে দিয়েছে। তাঁকে টানা জেরা চলছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার মূল অভিযুক্তকে জেরা করে এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় শুধু প্রদীপই নন, আরও কয়েক জন জড়িত বলে মনে করছে পুলিশ। তাঁদের সন্ধানেও জারি রয়েছে তল্লাশি।

Advertisement

গত ১৯ মে, রবিবার, রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের বক্তব্য, শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী থাকেন। ১৮ মে, শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জোর সেখানে ঢুকে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement