প্রতীকী চিত্র।
আগামী মঙ্গলবার থেকে কোনও চিঠি বা ফাইলে ভরা নথি নেবেন না জলপাইগুড়ির জেলাশাসক। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের সব আধিকারিকদের বৈঠকে ডেকে জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি জানিয়েছেন, এ বার সব চিঠি-ফাইল পাঠাতে হবে অনলাইনে। চলতি বছরের অগস্ট থেকে জেলাশাসকের দফতরে ই-প্রশাসন চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক। তারপরে মাত্র ১৫টি বিভাগে সেই কাজ শুরু হয়। বাকি বিভাগগুলিতে অনলাইন ব্যবস্থা শুরুর কাজ ঢিমেতালে চলছিল। তাতে ঝাঁকুনি দিতে জেলাশাসকের এই নির্দেশ। সেই মতো আগামী মঙ্গলবার থেকে জেলাশাসকের দফতরের ৬৩টি বিভাগেই পুরোপুরি অনলাইনে ফাইল দেওয়া-নেওয়া শুরু হচ্ছে। জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন কৃষি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরকেও ফাইল, চিঠি মঙ্গলবার থেকে অনলাইনেই পাঠাতে হবে।
জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, “রাজ্য সরকার চাইছে জেলায় জেলায় ই-প্রশাসন শুরু হোক। এ দিনের বৈঠকে সকলকে নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
কেমন হবে এই ব্যবস্থা? ই-প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিকের কথায়, “মনে করুন কোনও সংগঠন জেলাশাসককে চিঠিতে কোনও আর্জি বা অভিযোগ জানাল। এতদিন সেই চিঠি ফাইল করে জেলাশাসকের টেবিলে পৌঁছে দেওয়া হতো। এ বার জেলাশাসকের দফতরে চিঠি জমা পড়ার পরে সেটিকে স্ক্যান করে অনলাইনে তোলা হবে। তারপরে ই-মেইল করে জেলাশাসককে দেওয়া হবে।” জেলাশাসক তা পড়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে ই-মেল করে পাঠিয়ে দেবেন। দফতরের নিজস্ব ফাইল-নথি চালাচালিও অনলাইনে হবে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরের জন্য পৃথক সার্ভার তৈরি হয়েছে। সেখানেই সব তথ্য থাকবে। পুরনো ফাইলগুলিও প্রয়োজন মতো অনলাইনে তুলে নেওয়া হবে।
ই-অফিস নামে একটি পোর্টালের মাধ্যমে কাজ হবে। এর ফলে প্রশাসনের কাজে স্বচ্ছতা এবং গতি আসবে বলে দাবি প্রশাসনের। এই পদ্ধতিতে যে কোনও সময়ে যে কোনও ফাইল কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে তা আধিকারিকরা জেনে নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার থেকে কোনও নথিতে আধিকারিকের সই দরকার হলে সেটিকে প্রিন্ট করিয়ে সই করাতে হবে। ফের স্ক্যান করে কম্পিউটারে তুলতে হবে। ডিজিটাল সই-এর পরিকাঠামো তৈরি হলে কম্পিউটার স্ক্রিনে নথি দেখে সই করা সম্ভব। প্রশাসন সূত্রের খবর, মাসখানেকের মধ্যে সে পরিকাঠামোও তৈরি হয়ে যাবে।