বন দফতর, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিজের অফিসে বৈঠকে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু ঠেকাতে এ বার সমন্বয় বৈঠক করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। বুধবার বন দফতর, বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
বন দফতর সূত্রে খবর, চলতি বছরে ১৬টি হাতির মৃত্যু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। যার মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় আটটি হাতি। চলতি মাসেই হলদিবাড়ি চা বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি স্ত্রী হাতির মৃত্যু হয়। ঘটনায় হলদিবাড়ি চা বাগানের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে বন দফতর।
বুধবার বন দফতর, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিজের অফিসে বৈঠক করেন জেলাশাসক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের ডিএফও নিশা গোস্বামী, বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার বিষ্ণু দত্ত এবং চা বনিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বুধবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে চা বাগান-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ উঠেছে, তার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলাশাসক বলেন, “হাতি মৃত্যু রুখতে কো-অর্ডিনেশন বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরকে চা বাগান এলাকায় ঝুলে থাকা তার দ্রুত সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।” পাশাপাশি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যুর ঘটনা রুখতে চা বাগান কর্তৃপক্ষ এবং বন দফতরকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।