স্কুলে ফেরানো, পরীক্ষার বন্দোবস্ত ডিএমের
Suspension order Cancelled

পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজ

পদাধিকার বলে জেলাশাসক জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি। তিনিই নির্দেশ দিয়ে স্কুলের সিদ্ধান্ত রদ করতে বলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

টেস্টের আগে, জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজ করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার বহিষ্কৃত ছাত্রের পরিবারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন। পরিবারের উপস্থিতিতে ছাত্রের সঙ্গেও কথা বলেছেন জেলাশাসক এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) পুষ্পক রায়। পদাধিকার বলে জেলাশাসক জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি। তিনিই নির্দেশ দিয়ে স্কুলের সিদ্ধান্ত রদ করতে বলেছেন। বহিষ্কৃত পড়ুয়াকে মাধ্যমিক দেওয়ানোর বন্দোবস্ত করতে এবং স্কুলে ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। এ দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের তরফে দাবি করা হয়েছে, পড়ুয়াকে বহিষ্কার করার কথা নিয়ম মেনে জেলাশাসকের দফতরে জানানো হয়েছে। যদিও জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এমন কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি।

Advertisement

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন বলেন, “পড়ুয়ার পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্র যাতে পরীক্ষা দিতে পারে, স্কুলে ফিরতে পারে, তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।”

দু’দিন ছুটি নেওয়ার পরে, শুক্রবার স্কুলের কাজে যোগ দিয়েছেন জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বাড়ুই। স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ দাবি করেছিলেন, তাঁরা বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানতেন না এবং মাধ্যমিকের আগে কোনও পড়ুয়াকে বহিষ্কারের পক্ষেও তাঁরা নন। এ দিন প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, “পড়ুয়াকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত। এখন বাইরে যে, যা খুশি বলতে পারেন, কিন্তু বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সকলে মিলে নেওয়া হয়েছিল।” এ দিন প্রধানশিক্ষক দাবি করেছেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই পড়ুয়া বাড়ি গিয়ে তাঁর উপরে ‘চড়াও’ হয়েছিল। প্রধানশিক্ষকের অভিযোগ, ওই পড়ুয়া তাঁকে ঘুষি মারে। তার পরে তিনি থানায় পড়ুয়ার নামে ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। সে ঘটনার পরেই পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়। এখানে প্রশ্ন উঠেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনার পরে, তিনি পুলিশে জানিয়েছিলেন। তারও এক মাসের বেশি পরে কেন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, বিশেষত, যখন মাধ্যমিকের টেস্ট সামনে চলে এসেছিল?

Advertisement

প্রধানশিক্ষক বলেন, “ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। সে কারণেই সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই ঘটনার পরে মাধ্যমিক বোর্ডের সভাপতির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।” বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আগে কেন পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা জেলাশাসককে জানানো হল না! গত ৯ নভেম্বরের তারিখে বহিষ্কারের চিঠি তৈরির পরে, প্রধানশিক্ষক বলেন, “জেলাশাসককে এ দিন জানিয়েছি।”

জেলাশাসকের অফিসে দাঁড়িয়ে ওই পড়ুয়া এ দিন বলে, “আমি ফুটবল খেলায় সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রধানশিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম শুধু। আমি
অন্যায় করলে, শাস্তি দিন। কিন্তু আমাকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেওয়া হোক।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement