ধূপগুড়িতে মন্দিরে চুরি। নিজস্ব চিত্র।
জলপাইগুড়ি শহরে ফের চুরি। এবার মন্দিরের দানবাক্সের তালা ভেঙে টাকা চুরি গেল। ধূপগুড়ি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মহামায়া কালী মন্দিরে মঙ্গলবার রাত্রে চুরি হয়। বুধবার সকালে মন্দিরের পুরোহিত পুজো করতে এসে দেখেন, দানবাক্সের তালা ভাঙা। বাক্সের সব টাকা উধাও।
ধূপগুড়ি শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মন্দির থেকে এ ভাবে চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত শহরের সাধারণ নাগরিক থেকে ব্যবসায়ীরা। মন্দিরের পুরোহিত ভোলা চক্রবর্তী বলেন, “পৌনে ৮টা নাগাদ মন্দিরে গিয়ে দেখি, দানবাক্সের তালা খোলা। এবং তার ভিতরে কিছুই নেই। এরপর মন্দির কমিটির সদস্যদের বিষয়টি জানাই।”
ধূপগুড়ি শহরে নিরাপত্তার খাতিরে ৩৯টি নজরদারি ক্যামেরা বসায় পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পরে সেগুলি ধূপগুড়ি থানা নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেয়। অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই সেগুলি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে, সারানোর ব্যবস্থাই করা হচ্ছে না। ফলে এমন চুরির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।
বাসিন্দাদের দাবি, গত ৩ মাসে প্রায় ৪০টি চুরি হয়েছে। মোটরবাইক, সোনার দোকান বা বাড়িতে চুরি চলছিলই। এবার মন্দিরেও চুরি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধূপগুড়ি শহরের বাসিন্দারা।
ধূপগুড়ির ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশিস দত্তের অভিযোগ, “শহরের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। ৩ মাসে যতগুলি চুরির ঘটনা সামনে এসেছে, তার একটিরও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।” তাঁর দাবি, হয়তো চোরেরাও জানে কোন কোন জায়গায় নজরদারি ক্যামেরা খারাপ। তাই হয় তো চুরি করতে এত সাহস পাচ্ছে।