হাতির দাঁত উদ্ধারের পর গ্রেফতার দুই। —নিজস্ব চিত্র।
অসম থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে হানা দিয়ে সাত কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের তিনটে হাতির দাঁত উদ্ধার করলেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব বিভাগের গোয়েন্দারা। গ্রেফতার হলেন দুই পাচারকারী। রবিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। তাঁদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, অসম থেকে শিলিগুড়ি হয়ে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে হাতির দাঁত পাচারের ছক কষছিলেন পাচারকারীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এনজেপি স্টেশনে হানা দেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব বিভাগের গোয়েন্দারা। দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে অভিযান চালাতেই ধরা পড়েন দুই পাচারকারী। তাঁদের কাছ থেকে মোট তিনটি হাতির দাঁত পাওয়া যায়। তার ওজন সাত কেজি ৩২০ গ্রাম। রাজস্ব বিভাগ সূত্রে খবর, এই দাঁতগুলির বাজারমূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা।
দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপাল সীমান্ত হয়ে বিদেশে ওই হাতির দাঁত পাচারের ছক কষেছিলেন তাঁরা। অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান থেকেই কি হাতির দাঁত পান চোরাশিকারিরা? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ধৃত দু’জন অসমের নওগাঁওয়ের বাসিন্দা। এক জনের নাম সোলেমান খান। তাঁর বয়স ২৮ বছর। আর এক জন রতন গোয়ালা। তাঁর বয়স ৩৫। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদে করে এ পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, তাতে জানা যাচ্ছে, তাঁরা বারাণসীতে ওই দাঁতগুলো এক ব্যক্তির হাতে তুলে দিতেন।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী রতন বণিক বলেন, ‘‘গোপন সূত্রের খবর পেয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসের নির্দিষ্ট কামরায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করে শিলিগুড়ির কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর। তল্লাশি চালাতেই তিনটে হাতির দাঁত উদ্ধার হয়। পরে ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো’র আধিকারিকদের ডেকে সেই হাতির দাঁত দেখিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তিনটে হাতির দাঁতের মূল্য ১০ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। ধৃত দু’জনকে আজ শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। অন্য পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়। জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।’’