ইসলামপুর। ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরেই জেলার দাবি করছিলেন ইসলামপুরবাসী। তবে জেলা না হলেও পুলিশ জেলায় পরিণত ইসলামপুর। সরকারি একটি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও আনন্দে উল্লসিত এলাকাবাসী। তবে কবে থেকে চালু হচ্ছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও তিনি পাননি বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। সুমিত বলেন, ‘‘আমিও শুনেছি তবে সরকারি কোনও নির্দেশ এখনও পর্যন্ত আমার হাতে পৌঁছয়নি।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ জেলা হওয়ার জন্য কয়েক মাস আগেই ইসলামপুরের জেলা পুলিশ দফতর সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের জন্য জায়গা দেখা হচ্ছিল ইসলামপুরের বিভিন্ন প্রান্তে। তার একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছিলেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। রায়গঞ্জ মহিলা থানা সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার অধীনে ১১টি থানা রয়েছে। এ বার দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে জেলার এই থানা গুলিকে। পরিণত হয়েছে রায়গঞ্জ ইসলামপুর দু’টি পুলিশ জেলায়।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অধীনে থাকবে রায়গঞ্জ, রায়গঞ্জ মহিলা থানা, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও করনদিঘি থানা।
ইসলামপুর পুলিশ জেলার অধীনে থাকবে ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া ও ডালখোলা থানা।
তবে কবে থেকে তা চালু হচ্ছে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি কেউই। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া সহ বেশ কিছু এলাকা অপরাধ প্রবণ। সামান্য গন্ডগোলেই এলাকাতে গুলি বোমার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি এক দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশের দুই সাব ইন্সপেক্টর। তার আগে সেই পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই একের পর এক হামলার ঘঠনা এই এলাকায় হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশকর্মীদের অনেকেই জানান, পুলিশ জেলা হলে এলাকাতে পুলিশের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এই জেলার জন্য পুলিশ সুপার সহ পুলিশ আধিকারিকও আসবেন।
তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরে তার প্রস্তুতি চলছিল। সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হলে খুব শীঘ্রই তা চালু হবে বলে আশাবাদী।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।