প্রতীকী চিত্র।
হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার দিনগুলিতে যে কোনও রকম সমস্যা এড়াতে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসলামপুর জেলা পুলিশ। এলাকার স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির উপরে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বেশ কিছু কেন্দ্রে বসানো হচ্ছে ব্যারিকেড, বসছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশ ও র্যাফ মোতায়েন থাকছে থানা ও পুলিশ লাইনেও। ইসলামপুর পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, ‘‘সমস্ত স্কুলগুলি ভাগ করে কত পুলিশকর্মী সেখানে থাকবেন তার তালিকা তৈরি হয়। যে সব স্কুলের বাইরে পাঁচিল নেই সেখানে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দিতে বলা হয়েছে। কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে স্কুলগুলিতে।’’
এ বছর ইসলামপুর মহকুমার পাঁচটি ব্লকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮৯৫১ জন। তার মধ্যে মেয়ে রয়েছে ১২৬৮৯ জন। ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬২৬২। চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর ১, গোয়ালপোখর ২, করণদিঘি মিলিয়ে মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৪টি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে ১৬টি কেন্দ্র। প্রতিটি ব্লকে দু’টি করে মূল ‘ভেনু’ থাকছে। এ বছর মূল ভেনু ইসলামপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে বদলে করা হয়েছে মিলনপল্লি হাই স্কুলে। গোয়ালপোখর ১-এ একটি ভেনু লোধন হাই স্কুল অপরটি হচ্ছে শোলপাড়া হাই স্কুল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মহকুমা আহ্বায়ক বিশ্ব মণ্ডল বলেন, ‘‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করতে যাতে বোর্ড প্রতিনিধিদের কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণে সোমবার বেলা ১২ টায় একটি বৈঠক করা হবে।’’
প্রশাসনের কর্তারাই জানাচ্ছেন, কয়েক বছর ধরে জেলায় মাধ্যমিকের স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতেও এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। পরীক্ষার্থী ছাড়া বাইরের কাউকে স্কুলের ধারেকাছেও যেতে দেওয়া হয় না। পুলিশ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক নিয়ে এ বারও কড়া নজরদারি রাখছে পুলিশ প্রশাসন। থাকছে সিসিটিভিও। প্রয়োজনে পাশের জেলা থেকেও পুলিশ ফোর্স আনা হতে পারে ফলে পুলিশের একটি সূত্রে জানতে পারে গিয়েছে। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক খুরশিদ আলম বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের যাতে পরীক্ষা দিতে কোনও সমস্যা না হয় সে দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাস্তরে তা নিয়ে বৈঠক হয়েছে।’’ অপর দিকে, ইসলামপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মহকুমা প্রশাসনকেও চিঠি লিখে জানানো হয়েছে।’’
গত কয়েক বছর আগেও মাধ্যমিকে নকল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হত ইসলামপুর মহকুমার গোয়ালপোখর, চোপড়া চাকুলিয়া, ইসলামপুরের কিছু স্কুলে। কয়েক বছর আগে নকল দেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের জেরে গোয়ালপোখরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৎকালীন মহকুমাশাসক শমনজিৎ সেনগুপ্ত এবং এসডিপিও নীলকান্ত সুধীর কুমার। তার পর থেকেই আরও নজরদারি বাড়ায় পুলিশ প্রশাসন।