বিপদজনক ভাবে বইছে তিস্তা, জারি হল লাল সতর্কতা, ভারী বৃষ্টির পুর্বাভাস চলছেই জলপাইগুড়িতে। ছবি: সন্দীপ পাল।
প্রতিদিন ‘স্পার’ (ভাঙন রুখতে বাঁধের সম্প্রসারিত অংশ) ভাঙছে ফুঁসে ওঠা তিস্তার। পরিস্থিতি সামলাতে এ বার তিস্তায় ‘ড্রেজিং’ তথা নদীখাত খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দফতর। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নদীখাত খননের বিশদ পরিকল্পনা (ডিপিআর) তৈরির। তিস্তার খাত খননে মোটা অঙ্কের খরচ হবে। যদিও সেচ দফতরের দাবি, এ বছর বর্ষার শুরুতেই তিস্তার যা ‘গতিপ্রকৃতি,’ তাতে দ্রুত ‘ড্রেজিং’ বা নদীখাত থেকে পলি তোলা না হলে নদীর দু’পারের জনপদ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
গত বছর সিকিমের বিপর্যয়ের পরে তিস্তা গতিপথ বদলেছে এবং নদীখাত পলি জমে উঁচু হয়েছে। এই দুইয়ের কারণেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে তিস্তা। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি লাগোয়া বাকালিতে তিস্তা বাঁধের পর পর সাতটি ‘স্পার’-এর মুখ ভেঙেছে। গত বছর পাঁচটি ‘স্পার’-এর ক্ষতি হয়েছিল। এ বার নদী গতিপথ বদলানোয় আরও দু’টি ‘স্পার’-এর মাথা ভেঙেছে। সেবকের পরে, তিস্তা বইছে আশপাশের গ্রামের সমান উচ্চতায়। যার ফলে, লালটং বস্তি-সহ বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকে পড়ছে। এ দিন তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। মেখলিগঞ্জে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় ‘লাল সতর্কতা’ জারি হয়েছে।
সেচ দতরের মুখ্য বাস্তুকার (উত্তর-পূর্ব) কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “তিস্তার গতিপথ বদলানোর পরে সমীক্ষা হয়েছিল তার রিপোর্ট এসেছে। এ দিকে নদীখাত উঁচু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত তিস্তার খাত থেকে পলি সরাতে হবে। বিশদ প্রকল্প তৈরি করতে বলা হয়েছে। ভরা বর্ষায় সম্ভব নয়, বর্ষা কমতেই কাজে হাত দিতে হবে। আজও বেশ কিছু স্পারের মুখ ভেঙেছে।”
এ দিন সেচ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “এখন শুধু স্পার রক্ষা করতে হবে। পরে মেরামতির কাজ।” এ দিনও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।