স্নাতক স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলে ভুলের অভিযোগ এবং তা নিয়ে পড়ুয়াদের অসন্তোষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক শ্যামাপদ মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে ৯ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উপাচার্যের উপস্থিতিতে বুধবার বিকেলে সেই কমিটির প্রথম বৈঠকও করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল ইস্যুতে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলির অধ্যক্ষদের নিয়ে পৃথক একটি বৈঠকও করেন উপাচার্য।
এ দিকে পরীক্ষার ফল নিয়ে অভিযোগ জানাতে এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিল বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা। কিন্তু দু’দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনার জেরে এ দিন আগে থেকেই মূল গেটে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার ছিল। শেষপর্যন্ত পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আর ঢুকতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উন্নয়ন আধিকারিক ও ইন্সপেক্টর অব কলেজেস গেটের সামনে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পড়ুয়াদের পাঁচ জন প্রতিনিধি গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ফলাফল সংক্রান্ত ৮ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে।
পরীক্ষার ১০৫ দিন পর ফল প্রকাশ এবং সেই প্রকাশিত ফলাফল নাকি পুরোপুরিই ভুলেভরা—এমনই দুই অভিযোগে লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভে বারবার উত্তাল হচ্ছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের একাংশ উত্তেজিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছে এবং সেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
বৈঠক শেষে উপাচার্য স্বাগত সেন বলেন, পরীক্ষার ফল নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখতে ৯ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়েছে, পড়ুয়ারা আবশ্যিক বাংলা পরীক্ষার ফল নিয়ে অসঙ্গতির যে অভিযোগ করেছে, সেই প্রেক্ষিতে ওই বিষয়ের সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হবে। সাত দিনের মধ্যে তা শেষ করতে বলা হয়েছে। পড়ুয়াদের ফলাফল সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে সেই অভিযোগ তাঁদের সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে জানাতে হবে। অধ্যক্ষরা সেই অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন। পরে কেস-টু-কেস সেই অভিযোগ পর্যালোচনা করা হবে।