গরমে একটু স্বস্তির খোঁজে। নিজস্ব চিত্র।
দিন কয়েক আগেই টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় সৃষ্টি হয় বন্যা পরিস্থিতি। এখন সেই বৃষ্টি আর নেই। বরং দক্ষিণবঙ্গে যখন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলছে, তখন উত্তরবঙ্গে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। পরিস্থিতি এমনই যে, রাস্তাতেই বেরোচ্ছেন না মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
এ বার উত্তরবঙ্গে বর্ষা এসেছে সময়ের আগে। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। কিন্তু এক মাস যেতেই সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। জুলাইয়ের প্রথম থেকেই চড়া রোদ এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। টানা দুই সপ্তাহ ধরে এই একই রকম আবহাওয়া কোচবিহারে। ওই জেলায় তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। সকাল থেকেই চাঁদিফাটা রোদ। তাই রাস্তাঘাট প্রায় শুনশান। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। শুক্রবার দেখা গেল, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বাজার সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে গ্লুকোজ মেশানো জল বিতরণ করা হচ্ছে। বস্তুত, কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এতটা গরম কখনও পড়েনি। বর্ষার মরসুমে ১৫ দিন বৃষ্টি নেই। এমতাবস্থায় নেটমাধ্যমে শহরবাসী দাবি তুলেছেন, কয়েক দিনের জন্য বন্ধ রাখা হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর। গরমের জন্য প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে সকালবেলা ক্লাস করার আবেদন জানিয়ছেন তিনি। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহের কারণে এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যথার্থ পদক্ষেপ করবেন বলে আশাবাদী শঙ্কর।