ধূপগুড়ি পুরসভা। নিজস্ব চিত্র।
ধূপগুড়ি পুরসভার ফান্ডে টাকা নেই, তাই গরিবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর তৈরির কাজ মাঝপথে থমকে গিয়েছে। এতেই সমস্যায় পড়েছেন প্রায় হাজার বাসিন্দা। ধূপগুড়ি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পের ঘর প্রদান করা হয়। ঘর তৈরির কাজ পুরসভার তত্ত্বাবধানে চলছিল। ঘর তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কয়েক মাস পরই টাকা ঢুকছে না প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে। যার ফলে মাঝপথে আটকে গিয়েছে প্রায় এক হাজার বাসিন্দার ঘর তৈরির কাজ।
বর্ষাকালেও চরম দুর্ভোগের মধ্যে কাটাতে হয়েছিল অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় থাকা ঘরের মালিকদের। পৌরসভার চেয়ারপার্সন, ভাইস-চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের কাছে ঘুরেও কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাঁদের। বুধবার ধূপগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও বিজেপির চার কাউন্সিলর ‘হাউস ফর অল’-এর টাকা না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর কৃষ্ণদেব রায় অভিযোগ করেন, ‘‘পুরসভার ফান্ডে টাকা নেই বলে দাবি করছে চেয়ারপার্সন এবং ভাইস চেয়ারম্যান। আমাদের প্রশ্ন টাকা কোথায় গেল? ফান্ড কেন শূন্য? কেন্দ্রীয় সরকারের গরিবদের জন্য যে টাকা পাঠাচ্ছে, তা তাঁরা পাচ্ছেন না। পুরসভাতে দুর্নীতির জন্যই ফান্ডে টাকা নেই।’’ ঘরগুলি সম্পূর্ণ করার টাকা দ্রুত না দিলে আন্দোলনে নামারও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অর্পিতা ঘোষ বলেছেন, ‘‘এই প্রকল্পের ঘরের টাকা আসছে না। ফলে পুর এলাকার সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছেন। নতুন ঘরের টাকা পয়সা আটকে রয়েছে। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এসে আমাদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’’ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহ বলেছেন, ‘‘পৌরসভার ফান্ডে টাকা নেই। তাই কিছু ঘরের কাজ অর্ধসমাপ্ত রয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার তাঁদের শেয়ারের টাকা পাঠায়নি বলেই এই সমস্যা। ১৭৬৫টি ঘর ১৬ টি ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। যার মধ্যে কিছু ঘর সম্পূর্ণ হয়েছে। কিছু ঘরের কাজ বাকি আছে। পুর নগর উন্নয়ন দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’