Bagdogra Airport

আবার ‘আইএলএস’ চালুর কাজ হবে বাগডোগরায়

বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানান, বাগডোগরা সামরিক বিমানবন্দর। এর ‘এটিসি’ (এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল) থেকে ‘আইএলএস’ ব্যবস্থা সবই বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রণ করে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০৫
Share:

বাগডোগরা বিমান বন্দর। —নিজস্ব চিত্র।

প্রায় আড়াই বছর পরে, শীতের মরশুমের আগে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামার ‘ইন্স্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম’ বা ‘আইএলএস’ ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হল।

Advertisement

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ থাকা ‘আইএলএস’ ব্যবস্থা নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা ও ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র (এএআই) বৈঠক হয়েছে। তাতে বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকার কিছু পরিকাঠামো বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, ঠিক হয়েছে মূলত ‘আইএলএস’-এর ‘গ্লাইড পাথ’-এর জন্য নতুন করে সীমানা প্রাচীর-সহ কিছু নির্মাণের কাজ হবে। সেপ্টেম্বরের শেষে, টেন্ডারের পরে, দু’মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।

‘এএআই’-এর পূর্বাঞ্চলীয় দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘গত জানুয়ারি থেকে বায়ুসেনার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। বায়ুসেনাই সমীক্ষা করে কী-কী করণীয় তা দেখার জন্য বলে। তার জেরে, কিছু পরিকাঠামোগত পরিবর্তন দরকার রয়েছে। তার কাজ করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে শীতের মরসুমে কুয়াশায় বিমান ওঠানামায় ‘আইএলএস’ ব্যবহার হবে।

Advertisement

বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানান, বাগডোগরা সামরিক বিমানবন্দর। এর ‘এটিসি’ (এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল) থেকে ‘আইএলএস’ ব্যবস্থা সবই বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রণ করে। এক দশক আগে, ‘আইএলএস ক্যাট-২’ পরিষেবার জন্য রাজ্য সরকার জমি দেয়। বায়ুসেনাও জমি দিয়েছিল। তাতে পরিষেবা চালু হওয়ায় রাতে বিমান ওঠানামা শুধু নয়, কুয়াশা বা বৃষ্টিতে বিমানের চালকদের নামা ওঠায় সুবিধা বেড়েছিল। কিন্তু কিছু দিন পর থেকে ‘আইএলএস’-এর কিছু সিগন্যালের সমস্যা ধরা পড়ে। ‘আইএলএস’-এর একটি অ্যান্টেনা থেকে বিমানবন্দরের একটি সীমানা প্রাচীরের (পেরিমিটার ওয়াল) দূরত্ব ১০.৫ মিটার, যা ক্যাট-২ প্রযুক্তির ‘আইএলএস’ ব্যবস্থা চালু রাখতে কমপক্ষে ৩৫ মিটার দূরে থাকা প্রয়োজন। ওই প্রাচীরটি না সরালে, বিমানের পক্ষে ‘আইএলএস’-এর সিগন্যাল পেতে সমস্যা হবে। বায়ুসেনার অনুরোধে ‘এএআই’-এর বিশেষজ্ঞেরা বিষযটি খতিয়ে দেখে, ওই প্রাচীর সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

‘এএআই’-এর অফিসারেরা জানান, ‘আইএলএস’ ব্যবস্থা চালুর পরে, রাতের বিমান ওঠানামাও বাড়তে থাকে। বেশি রাতে বিমান চলাচল করেছে। তাতে বহু বিমান সংস্থা বাগডোগরা নিয়ে আগ্রহ দেখানো শুরু করে। কিন্তু ‘আইএলএস’ ব্যবহার বন্ধ হতেই বিমান সংস্থাগুলির আগ্রহ কমতে থাকে। তাতে ‘এএআই’-এর আর্থিক আয়ের দিকটি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন স্তর থেকে ‘এএআই’ এবং সরকারি স্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে প্রথম বার বায়ুসেনা বিষয়টি নিয়ে ‘এএআই’ অফিসারদের সঙ্গে আলোচনায় বসে।

প্রায় ১,৯০০ কোটি টাকা দিয়ে বাগডোগরার নতুন টার্মিনাল, বিমানবন্দরের কাজ ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা। তার আগে, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বর্তমান টার্মিনাল ভবনের অদলবদল করা হচ্ছে। চালু করা হচ্ছে ‘আইএলএস’ ব্যবস্থাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement