TMC

দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পদ থেকে সরাতে নির্দেশ

তৃণমূল সূত্রের খবর, গত দু’টি সভায় দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের চিহ্নিত করতে জেলা নেতাদের নির্দেশ দেন রাজীব। তবে রবিবার দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দিতে জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফালাকাটা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৫১
Share:

প্রতীকী চিত্র

গত দু’টি কর্মিসভায় দলের স্বার্থে কাজ না করা নেতাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। রবিবার ফের একটি কর্মিসভায় তারই পুনরাবৃত্তি করলেন ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিশেষ পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় কমিউনিটি হলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পদ থেকে ঝেড়ে ফেলতে তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিলেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত হাততালির ঝড় ওঠে সভায়।গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে হারের পরে ফালাকাটার উপনির্বাচনকে পাখির চোখ হিসেবে দেখছেন তৃণমূলের রাজ্য শীর্ষ নেতারা। এই অবস্থায় রাজীব ও দলের রাজ্য শীর্ষ নেতারা বারবার ছুটে আসছেন আলিপুরদুয়ারে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, গত দু’টি সভায় দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের চিহ্নিত করতে জেলা নেতাদের নির্দেশ দেন রাজীব। তবে রবিবার দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দিতে জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজীব বলেন, “যদি কেউ ভেবে থাকেন আমরা কিছু জানি না, তবে ভুল করছেন। আমরা সবার উপর নজর রাখছি।” এ দিনের বৈঠকে রাজীব জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, “সংগঠনে যাঁরা যোগ্য, তাঁদের কাজে লাগাতে হবে। যারা শুধুমাত্র পদ আঁকড়ে ‘রবার স্ট্যাম্প’ ব্যবহার করছেন, তাঁদের আর প্রয়োজন নেই।” বৈঠক শেষে মৃদুল বলেন, “দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ আমাদের শিরোধার্য।”

সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদেরও মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন রাজীব। জনসংযোগে যে খানিকটা খামতি রয়েছে তা-ও বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্বীকার করে নেন তিনি। রাজীব জানান, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই খামতি দূর করতে দলের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এ দিনই জটেশ্বরে দলের এক বৈঠক শেষে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, জেলায় দলের একমাত্র বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পুলিশ কর্তারা হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব অবশ্য সায়ন্তনের এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘পায়ের নীচে জমি সরে যাওয়ায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন বিজেপি নেতারা।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement