প্রতীকী ছবি।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দলে ডামাডোলের মাঝেই কালিয়াচক ২ ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে যুব তৃণমূল কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। যুব তৃণমূলের এই ব্লক কমিটির নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি আলোচনা না করেই অগণতান্ত্রিকভাবে অঞ্চল কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটির বাস্তবতা নেই। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন যুব নেতাদের অনেকে। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও শোরগোল পড়েছে। যদিও ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতির দাবি, সংগঠনের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই নতুন-পুরানোদের মেলবন্ধন ঘটিয়ে অঞ্চল কমিটিগুলি গড়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতেই কালিয়াচক ২ ব্লকের সাতটি অঞ্চলের যুব তৃণমূল কমিটির পদাধিকারীদের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। আর তারপরেই ওই ব্লকে তৃণমূলের যুব সংগঠনের দায়িত্বে থাকা একাধিক নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, সংগঠনের জেলা সভাপতির কাছে ওই কমিটি গঠন নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান কালিয়াচক ২ ব্লক যুব তৃণমূলের তিন সহকারি সভাপতি তোহিদুর রহমান, ইফতিকার আহমেদ এবং রঞ্জিত লালা। এর পাশাপাশি রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তোহিদুর বলেন, "সম্প্রতি ব্লকে যুব সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটি গঠনের পর ব্লক যুব সভাপতি কোনও মিটিং ডাকেননি। অথচ আমরা শনিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পেলাম, ব্লকের ৯'টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংগঠনের অঞ্চল কমিটি গঠন হয়ে গিয়েছে।" তাঁর অভিযোগ, ‘‘এই কমিটিগুলি গঠনে আমাদের কাউকে ডাকা হয়নি। মতামতও নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্রে চেয়ারম্যান বলে কোনও পদ নেই। অথচ প্রতিটি অঞ্চল কমিটিতে চেয়ারম্যান পদে এক জনকে রাখা হয়েছে। আমরা এই ভুয়ো কমিটি বাতিল করে নতুন করে আলোচনার মাধ্যমে অঞ্চল কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।’’
যদিও এই অভিযোগ নিয়ে ব্লক সভাপতি আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনেই কমিটি হয়েছে। আমি অঞ্চল কমিটি গঠনের আগে একাধিকবার ব্লক কমিটির মিটিং করে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে এই কমিটি করেছি। কমিটি নিয়ে কারও কোনও বক্তব্য থাকলে দলের অভ্যন্তরে বলতে হবে।কিন্তু তা না করে যদি কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ও বাইরে বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করে তবে সেটা তো দলবিরোধী কাজ।’’ তবে এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূল যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলিপ পারভেজ বলেন, ‘‘কালিয়াচক ২ ব্লকের কিছু অঞ্চল কমিটির তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে। অঞ্চলে চেয়ারম্যান বলে কোনও পদ নেই। কিন্তু ওই কমিটিতে তা করা হয়েছে। সম্ভবত ভুলবশত হয়েছে। তাই ওই কমিটি প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়েছে।’’