Coochbehar

ফের দ্বন্দ্বে রবি-উদয়ন

নাম না করে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গধ্বনি যাত্রা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

নেত্রী বলেছেন মিলেমিশে কাজ করতে। কিন্তু জেলায় উল্টো ছবি। এ বার রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উদয়ন গুহের ‘বিরোধ’ নিয়ে চর্চা ছড়িয়েছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল। নাম না করে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গধ্বনি যাত্রা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে সে কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। উদয়ন বলেন, “আমার যা বলার তা স্পষ্ট করে দিয়েছি। এই সময় বিজেপিকে রুখতে সবাই মিলেই কাজ করা প্রয়োজন। সে কথাই জানিয়েছি।” এ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য, “কে, কী বলেছেন, কেন বলেছেন তা আমি জানি না।”

Advertisement

দলের অন্দরমহললের খবর, কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ-উদয়ন বিরোধ নতুন নয়। উদয়ন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের শিবিরের বিধায়ক বলে পরিচিত। দলীয় সূত্রে খবর, এ বার ঘটনার সূত্রপাত ২৫ ডিসেম্বর। ওই দিন রবীন্দ্রনাথ দিনহাটায় গিয়েছিলেন। সেখানে দলের একটি অফিসে বসেন তিনি। কেক কেটে, কর্মীদের খাইয়ে বড়দিন পালন করেন তিনি। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন পার্টি অফিসে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা দিনহাটায় উদয়ন-বিরোধী শিবিরের তৃণমূল নেতা-কর্মী বলে পরিচিত।

এর এক দিন পরেই উদয়ন ফেসবুকে লেখেন, “গত কাল রাজ্য স্তরের এক নেতা সাংগঠনিক আলোচনার জন্য দিনহাটায় এসেছিলেন। বিধায়ক, তিন ব্লক সভাপতি, শহর নেতৃত্বের বড় অংশ, ওয়ার্ড সভাপতিরা কেউ জানেন না। কেমন সাংগঠনিক আলোচনা।”

Advertisement

উদয়ন অনুগামীদের অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ বিধায়ককে উপেক্ষা করে দলে বিক্ষুব্ধ বলে পরিচিত কিছু কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই কর্মীরাই বিধায়কের নানা কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক উদয়ন অনুগামীর কথায়, “আমাদের বিধায়ক যখন দলকে শক্তিশালী করতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন, তখন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দলের মধ্যে বিরোধ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।”

রবীন্দ্রনাথও ওই রাতেই ফেসবুকে লেখেন, “দৈববাণী— তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।” তা নিয়েও দলে আলোচনা হয়। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য দাবি করেন, তিনি বিজেপি বিরোধী বক্তব্য ফেসবুকে তুলে ধরেন। রবীন্দ্রনাথ অনুগামীদের দাবি, দলের প্রবীণ নেতা রবীন্দ্রনাথ। তিনি জেলার নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান। পার্টি অফিসে বসেন। তেমন ভাবেই দিনহাটায় গিয়ে পার্টি অফিসে বসেছেন। সেখানে সেদিন দলের দীর্ঘদিনের পুরনো নেতা-কর্মীরা ছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ অনুগামী এক নেতা বলেন, “দলের কর্মী-নেতাদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পার্টি অফিসে বসলে আপত্তি কেন উঠবে। আর যাঁদের বিরুদ্ধে উদয়ন বলছেন তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নেতা-কর্মী। তাঁদের নিয়ে কেন উদয়ন চলতে পারছেন না?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement