প্রতীকী ছবি।
ভোটের আগে ঘর গোছাতে পুজোর পরপরই বিজয়া সম্মিলনীর কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। সেই মঞ্চেই প্রকাশ্যে এল জেলার গোষ্ঠীকোন্দল। এ দিন ওই অনুষ্ঠানে জেলায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন দলেরই কিছু নেতা-কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, পুরনো নেতাদের জায়গা না দিয়ে, তাঁদের মতামত না শুনে দল চালানো হচ্ছে জেলায়।
বুধবার জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডা পাড়ার একটি ভবনে বিজয় সম্মিলনীর আয়োজন হয়। দলের একাংশের দাবি, ভোটের আগে সংগঠন গোছানোর অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। জেলার সব ব্লকের নেতা-কর্মীদের ডাকা হয়েছিল এখানে। সেখানেই দলের জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। দলের বিভিন্ন সংগঠনের, মণ্ডল স্তরের কিছু নেতাকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। যা নিয়ে অভিযোগ তোলেন ওই কর্মীরা। জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পছন্দমতো লোককে পদে বসানোর অভিযোগও তোলা হয়। এমন চললে আগামী বিধানসভা ভোটে জেলায় দলের ফলাফল ভাল হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করা হয়। বিজেপির কিসান মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি নবেন্দু সরকার বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দলকে যাঁরা জিতিয়ে এনেছেন তাঁরা আজ ঘরে বসে রয়েছেন। জেলা নেতৃত্বের খামখেয়ালিপনায় এই অবস্থা দলের। নিজেদের ইচ্ছে মত দলে কাজ করা নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে আমরা বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পাব না।’’
বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘বিজয়া সম্মিলনী থেকে কে কী বললো আমার জানা নেই। এই বিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই।’’