Parambrata-Piya

‘কঠিন সময়ে যেন একে অপরের কাছে মরূদ্যান হতে পারি’, বিয়ের বছরপূর্তিতে জানালেন পরমব্রত

পরমের কথায় এটা তাঁদের এক বছরের ‘ভরসাপূর্তি’। জীবন যে সব সময় মধুর হবে না, জানেন অভিনেতা। সেই সময় কী চান পিয়ার কাছে? জানালেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:০২
Share:

বিয়ের বছরপূর্তিতে পিয়াকে নিয়ে কী বললেন পরমব্রত? ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ের বর্ষপূর্তি। এক বছর পার করলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সফর তাঁদের মধুর। বলা যায়, সুরেলা সফর কাটাচ্ছেন অভিনেতা স্ত্রী পিয়ার সঙ্গে। বছরখানেক আগে নভেম্বর মাসের এই দিনটিতেই ঘরোয়া ভাবে বিয়ে সারেন দু’জনে। এলাহি আয়োজন কিংবা উদ্‌যাপনে বিশ্বাসী নন দম্পতি। তাই তাঁদের বিয়েও হয়েছিল তেমনই, যেমনটা তাঁরা চেয়েছিলেন। তার পর যোধপুর পার্কের বাড়িতে সাজিয়েছেন তাঁদের সুখী গৃহকোণ। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও ভালবাসার ভিত গান। বিবাহবার্ষিকীতে জানালেন কঠিন সময়ে একে অপরের পাশে থাকার কথা, একে অপরের ভরসা হয়ে ওঠার কথা।

Advertisement

ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা, গানে গানে স্বামীর জন্য পোস্ট এল সমাজমাধ্যমে, পিয়ার তরফে। যদিও দু’জনের যুগলবন্দি। পিয়া গাইলেন মহীনের ঘোড়াগুলির ‘জানাতে চাই তোমায় গানে গানে।’ পোস্টে অবশ্য লিখেছেন, ‘‘ভালবাসি তোমায় তাই জানাই গানে।’’ পরম লেখেন, ‘‘বন্ধুত্বের ভরসাপূর্তির এক বছর।’’ এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতা জানান, আজকের দিনটা অন্য দিনের তুলনায় আলাদা তাঁর কাছে। তাই খুব একটা কাজ রাখেননি। নিজেদের মতোই উদ্‌যাপন করবেন। উপহার দেবেন পিয়াকে। তবে সেটা প্রকাশ্যে আনতে চান না। একান্তই ব্যক্তিগত। পরমব্রতর কথায়, ‘‘উপহার দিতে ও পেতে আমাদের দু’জনের ভাল লাগে, কিন্তু আমরা খুব একটা দেখনদারিতে বিশ্বাসী নই, বিরাট দামি কিছু উপহার দিতে হবে, এমন নয়। এমন কিছু দেব যা কাজে লাগবে।’’

এই মুহূর্তে তারকারা জুটি হিসেবেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পরম-পিয়া সেই পথেই হাঁটছেন। সেই কারণেই কি পিয়ার সঙ্গে গানের অনুষ্ঠানে গিটার হাতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতাকে? পরমের সাফ কথা, ‘‘আমরা গান গাইতে ভালবাসি। ফাঁকা সময় পেলে গানবাজনা করি। কেউই এ ক্ষেত্রে পেশাদার নই। গান যে হেতু আমাদের ভালবাসার ভিত, তাই ভাল লাগে। এর বাইরে আর কোনও বিশেষ হিসাব নেই।’’

Advertisement

পরমের কথায় এটা তাঁদের ভরসাপূর্তির এক বছর। এই পথ, এই যাপন যাতে সুদীর্ঘ হয় সেটা যেমন চেয়েছেন অভিনেতা, তেমনই তাঁর দাবি, ‘‘আসলে জীবন তো সর্ব ক্ষণ মধুর হবে, এমন নয়। কঠিন সময় আসবেই। তা সে বাইরের কটাক্ষ বা সমালোচনা হোক, কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে, কর্মজীবনে ওঠাপড়া— সেই সময়ই সম্পর্কের পরীক্ষা। সেই সময় একের অপরের কাছে মরূদ্যান হয়ে থাকতে পারলেই পরীক্ষায় সফল হওয়া যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement