রাত পর্যন্ত টানা ধর্না করিমের

বৃহস্পতিবার ইসলামপুর থানার আগডিমঠি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুটিয়া এলাকার চা বাগানে হামলায় এক মহিলার মৃত্যু হয়।

Advertisement

অভিজিৎ পাল 

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৫৪
Share:

ঘটনাক্রম: চা বাগানে হামলার রাত থেকেই ধর্নায় বিধায়ক। (ডান দিকে) গুলিতে জখম এক ব্যক্তি হাসপাতালে। ইসলামপুরে। নিজস্ব চিত্র

চা বাগানের জমি ‘দখলে’ গুলিতে এক মহিলার মৃত্যু ঘিরে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল।

Advertisement

এ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের অনুগামী হিসেবে পরিচিত দলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। তবে একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ওই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের ব্যর্থতারও অভিযোগ তুলেছেন করিম।

বৃহস্পতিবার ইসলামপুর থানার আগডিমঠি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুটিয়া এলাকার চা বাগানে হামলায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর দাবিতে ধর্নায় বসেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন। এখন এই চা বাগানের পুরো জমির মালিক হতে চাইছেন।’’ এ দিন রাতে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল। করিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার পরই ধর্না থেকে ওঠেন করিম। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

দলের অন্দরমহলের খবর, জাকির হোসেন তৃণমূল জেলা সভাপতির অনুগামী হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেস ছেড়ে কানাইয়ালাল তৃণমূলে আসার পরে জাকিরও ওই দলে যোগ দেন। জাকিরকে ব্লক সভাপতি করেন কানাইয়ালাল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের পরে ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে কানাইয়ালাল ও করিমের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে আসে। তাঁর ছেলে মেহেতাব চৌধুরীকে ব্লক সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন করিম। কিন্তু জাকিরকেই ব্লক সভাপতি রাখেন কানাইয়ালাল।

জাকিরের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে, পাটাগরা এলাকায়। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ওই মৃত্যু দুঃখজনক। তবে এমন ঘটনা যাঁর এলাকায় ঘটবে, তার দায় তাঁরই হবে এমন কী করে হয়! কেউ যদি প্রচারে আসতে এমন বলে থাকেন তা হলে আমার কিছু বলার নেই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এক জন তৃণমূল কর্মী হয়ে অন্য তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করা

ঠিক নয়।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘ওই চা বাগান জাকিরের দখলে রয়েছে কি? উৎপাদক সংস্থা চা বাগান ছেড়ে গিয়েছে। শ্রমিক ও সেখানকার জমির মালিকেরা যে যার মতো তা দখল করছে। যারা তা পারছে না তারাই গণ্ডগোল করছে। শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন।’’

সিটুর উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক স্বপন গুহনিয়োগী বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে আন্দোলনে নামব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement