প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে লাগাতার চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না বিন্নাগুড়ির সেনা ছাউনিতে ঢুকে পড়া একটি আহত হাতিকে। শনিবার সেনাছাউনির ভিতর ওই পূর্ণবয়স্ক হাতিটি মারা যায়। তবে তার দেহ সরাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন সেনা জওয়ান এবং বনকর্মীরা। মৃত হাতিটির দলের সঙ্গীসাথিরা তার দেহ ঘিরে ধরে ফেলে। যদিও পরে হাতিটিকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে সফল হন বনকর্মীরা।
সেনা সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ সেনা ছাউনির জওয়ানেরা ওই পূর্ণবয়স্ক হাতিটিকে নর্থ জোনে কাতরাতে দেখেন। আহত হাতিটির চিকিৎসায় বন্যপ্রাণী স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন্যপ্রাণী বিভাগের পশু চিকিৎসক-সহ রেঞ্জার শুভাশিস রায় এবং জলপাইগুড়ি জেলার সাম্মানিক বন্যপ্রাণ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরীও।
বন দফতর জানিয়েছে, ওই হাতিটির সামনের দু'টি পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কী ভাবে হাতিটি আহত হল, তা বোঝা যায়নি। তবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসার পরেও ওই হাতিটিকে বাঁচানো যায়নি। বন আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ক্ষতে পচন ধরেই মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। সীমা বলেন, ‘‘হাতিটিকে বাঁচানোর জন্য ২৪ ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টা করেও বনকর্মীরা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন।’’
হাতিটির দেহ সরাতে গেলেও আর এক বিপত্তি দেখা দেয়। মৃত সঙ্গীর খোঁজে হাতির দল ছুটে আসে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে। তারা চার দিক থেকে ঘিরে ধরে দেহ। বহু চেষ্টার পর হাতির দলকে দূরে সরিয়ে দেন বনকর্মী এবং সেনা জওয়ানেরা। পরে মৃত হাতির দেহটি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় বন দফতর।