India

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ করিডর নিয়ে আলোচনা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল, হিলি-তুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডর তৈরি।

Advertisement

অনুপরতন মোহান্ত 

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিকে করিডর করে ভায়া বাংলাদেশ হয়ে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে দিতে পারে দেশের অর্থনীতি। সেই দাবিতে ‘যৌথ করিডর ফোরামের’ আন্দোলনের পর সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় বিষয়টি স্থান পাওয়ায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

সম্প্রতি বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিন (১৭ ডিসেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল, হিলি-তুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডর তৈরি। করিডর নিয়ে এগোনোর বিষয়ে হাসিনার কাছে মোদী প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

এ রাজ্য থেকে মেঘালয় পৌঁছতে এখন এই পথে দুদিন সময় লাগে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে মেঘালয়ে তুরা পর্যন্ত করিডর চালু হলে সেই দূরত্ব কমে হবে মাত্র ৮৬ কিমি। লাগবে মাত্র দুই থেকে থেকে তিন ঘণ্টা। এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে সড়কপথে কয়লা ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ আনতে সময় লাগে ২৪ ঘন্টারও বেশি। একই সময় লাগে এ রাজ্য থেকে মাছ ও কাঁচামাল গুয়াহাটি হয়ে ঘুরপথে মেঘালয় সহ উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিতে পাঠানোর ক্ষেত্রেও।

Advertisement

যৌথ করিডর আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস জানান, ২০১২ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে প্ল্যানিং কমিশন এক নম্বরে হিলি-তুরা করিডরকে তালিকায় রেখে প্রস্তাব দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ বিষয়ে আন্দোলন কমিটির তরফে দিল্লি ও ঢাকার সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে দাবি জানানো হয়। এতদিন দুই বাংলা ও মেঘালয়ের দাবি হিসেবে থাকলেও সম্প্রতি মোদী-হাসিনার বৈঠকে তা জাতীয় দাবি হিসেবে স্বীকৃতি পেল বলে মনে করেন নবকুমার। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজেও দিল্লিতে দরবার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘করিডরটি চালু হলে শুধু এ রাজ্যই নয়, সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশেরও অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনও ঘটবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement