তাল মেলাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে জওয়ানদের

বুধবার বিকেলে এমনই টুকরো টুকরো ছবি দেখা গেল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ফুলবাড়িতে। যৌথ মহড়ার ওই দৃশ্যে হাততালিও পড়ল দেদার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৮ ১৮:৪৯
Share:

মহড়া: ফুলবাড়ি সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের জওয়ানদের যৌথ মহড়া। বুধবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

বাংলাদেশের জওয়ানদের বাজনার তাল শিখিয়ে দিচ্ছেন ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ‘ব্রাশ-ব্যান্ড’-এর মাস্টার সঞ্জীব মিশ্র। বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশের ব্যান্ড মাস্টার তন্ময় বোম তাঁর সহকর্মীদের বারবার বুঝিয়েও তাল মেলাতে পারছিলেন না। শেষে তিনি সঞ্জীববাবুকে ফের তালিম দেওয়ার অনুরোধ করলেন। ঠিক হল আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরও একবার তালিম দেবেন সঞ্জীববাবু।

Advertisement

বুধবার বিকেলে এমনই টুকরো টুকরো ছবি দেখা গেল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ফুলবাড়িতে। যৌথ মহড়ার ওই দৃশ্যে হাততালিও পড়ল দেদার। উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখলেন দুই দেশের বাহিনীর কুচকাওয়াজের মহড়া।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ওয়াঘা-তে যেরকম সামরিক কুচকাওয়াজ হয়, এ বার থেকে তেমনই দেখা যাবে ফুলবাড়িতেও। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ এপ্রিল শুক্রবার থেকে ফুলবাড়িতে নিয়মিত যৌথ মহড়া হবে। দুই দেশের জওয়ানরা যাতে সুষ্ঠুভাবে মহড়ায় অংশ নিতে পারেন তার জন্য পুরোদমে চলছে প্রস্ততি। এ দিন বিএসএফ ও বিজিবির উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মহড়া শুরু হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে সেসব। উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্তারা পাশাপাশি বসে মহড়া দেখেন। এ দিন অবশ্য মহড়া দেখতে কাছাকাছি যেতে পারেননি উৎসাহীরা। দূরে ভিড় জমান উৎসাহী বাসিন্দারা। জিরো পয়েন্টেই দুই দেশের জওয়ানদের বসার জায়গা ছিল। ব্যান্ডে কখনও ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’ কখনও আবার ‘মেরে বতন কে লোগো’র সুর বাজতে শোনা যায়। বিজিবির সুর আর বাজনায় একটু ভুল হলেই শুধরে দিয়েছেন বিএসএফের সঞ্জীববাবু। তিনি বলেন, ‘‘বিজিবি-র জওয়ানরা নতুন। তাই একটু তালিম দিতে হচ্ছে।’’

আগামী শুক্রবার যৌথ মহড়া উপলক্ষে বিএসএফ, বিজিবির কর্তারা ছাড়াও দুই দেশের সাংবাদিক, সাধারণ বাসিন্দারা উপস্থিত থাকবেন। প্রত্যেকের বসার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের বাসিন্দা আব্দুল আলি বলেন, ‘‘মাসখানেক আগেও এমন হবে শুনেছিলাম। তা পিছিয়ে যায়। ফের তা হবে শুনে ভালই লাগছে।’’ বাসিন্দাদের আশা যৌথ মহড়া চালু হলে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। তাতে বাড়বে ব্যবসাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement