শ্রদ্ধায় ডান-বাম নেতারা
coochbehar

প্রয়াত কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি শ্যামল চৌধুরী

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘসময় ধরে কংগ্রেসের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন শ্যামল চৌধুরী। তাঁর বাড়ি কাটিহারে। খুব অল্প বয়সে তিনি সেখান থেকে কোচবিহারে চলে আসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র।

মানুষের ঢল তেমন নামেনি, নামতেও দেওয়া হয়নি। তাঁর যাত্রাপথে বাড়ির ভেতর দিকেই মুখ বাড়িয়েছেন সবাই। কেউ প্রণাম জানিয়েছেন, কেউ শুরু করেন তাঁর স্মৃতিকথা। রবিবার সকালে কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি শ্যামল চৌধুরীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। জেলা পার্টি অফিসের সামনে তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ডান-বাম নেতারা। শনিবার রাতে কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে।

Advertisement

কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের কার্য়করী সভাপতি রবীন রায় বলেন, “শ্যামল চৌধুরী অসম্ভব ভাল মানুষ ছিলেন। এ দিন তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বহু মানুষ ভিড় করেন জেলা পার্টি অফিসে। সরকারি নিয়ম মেনে তাঁর দেহ সৎকার হয়।”

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘসময় ধরে কংগ্রেসের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন শ্যামল চৌধুরী। তাঁর বাড়ি কাটিহারে। খুব অল্প বয়সে তিনি সেখান থেকে কোচবিহারে চলে আসেন। এখানে দিদির বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করেছেন। কলেজ জীবনে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। পরবর্তী কালে ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলা সভাপতি, যুব কংগ্রেসের সভাপতি থেকে তিনি জেলা কংগ্রেসের কোচবিহারের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান। পরে তিনি এআইসিসি’র সদস্যও হন।
তাঁর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, ১৯৭২ সালে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শ্যামল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সময় রামকৃষ্ণ পাল এবং শ্যামল চৌধুরী ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন। তাঁদের দু’জনের নেতৃত্ব যুবকদের সংগঠনে টানতে শুরু করে। তার পর দীর্ঘসময় একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন। মন্ত্রী বলেন, “শ্যামল চৌধুরীর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। একসময় দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন।”

Advertisement

জেলা কংগ্রেস অফিসে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “খুব ছোট বয়সে বাবার হাত ধরে বিভিন্ন মিটিংয়ে গিয়ে শ্যামল চৌধুরীর বক্তব্য শুনেছি। তা আমাকে খুব আকৃষ্ট করত।” এ দিন বাম নেতা অনন্ত রায়, দীপক সরকাররাও জেলা কংগ্রেস অফিসে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “বাম-কংগ্রেস জোটের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।” বিজেপির একাধিক নেতাও শোকজ্ঞাপন করেছেন।
প্রাক্তন জেলা ছাত্র পরিষদ সভাপতি দেবব্রত চাকী বলেন, ‘‘কোচবিহারের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement