জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
সার্কিট বেঞ্চ চত্বরে মশার উপদ্রব রুখতে আশপাশের সব উন্মুক্ত নর্দমা ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল প্রশাসনকে। চলতি মাসেই পরিদর্শনে এসে হাইকোর্টের বিচারপতিরা সার্কিট বেঞ্চের ভবন চত্বরকে মশামুক্ত করার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার ফের একপ্রস্ত সরকারি পরিদর্শন হয়েছে। তারপরেই এই নির্দেশ।
মঙ্গলবার বেঞ্চ উদ্বোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে জলপাইগুড়িতে সরকারি বৈঠক হয়। নির্দেশ এসেছে, সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান হবে ঘেরা জায়গায়। উচ্চমাধ্যমিক ও অন্য বোর্ডের পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বাইরে কোনও শব্দ যেন না যায়। তবে বাইরে বড় স্ক্রিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, অন্য বিচারপতিরা ছাড়াও রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন ধরে নিয়েই জেলা পুলিশকে নিরাপত্তার আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রীর নির্দেশ, বেঞ্চ চত্বরের আশপাশে কোনও উন্মুক্ত নর্দমা থাকবে না। চারপাশের এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি পুরসভাকে জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। উদ্বোধনের প্রক্রিয়ার জন্য হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে যা যা সহযোগিতা চেয়েছে সে সব দেওয়া হবে।”
উদ্বোধনের প্রক্রিয়ায় জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ৯মার্চ বেঞ্চ উদ্বোধন হওয়ার কথা জলপাইগুড়িতে। সে দিন কী ভাবে যান নিয়ন্ত্রণ হবে তাও ছকে ফেলেছে পুলিশ। এ দিন গৌতম দেব, জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া ছাড়াও অন্য আধিকারিকদের সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার। উদ্বোধনের দিন স্টেশন রোড এলাকায় যানবাহন চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরে পণ্যবাহী গাড়ি ঢোকার উপরেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
আজ, বুধবার হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতি শিলিগুড়িতে আসছেন। মৈনাক অতিথি নিবাসে সার্কিট বেঞ্চের তথ্য প্রযুক্তি কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেই প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন বিচারপতিরা। আগামী শুক্রবার জলপাইগুড়িতে এসে পৌঁছনোর কথা হাইকোর্টের চারজন বিচারপতি। জলপাইগুড়িতেও বেঞ্চের কর্মী নিয়োগের বেশ কিছু পরীক্ষা হবে। সেই প্রক্রিয়া তদারকি করা ছাড়াও পরিকাঠামো পরিদর্শন করবেন তাঁরা। বিচারপতি এবং আধিকারিকদের যাতায়াতের জন্য সাতটি গাড়ি কিনছে রাজ্য সরকার। কেনা হয়েছে টেলিভিশন সেট ও অন্য সামগ্রীও।