পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। মঙ্গলবার ডাবগ্রাম-২ হাতিয়াডাঙ্গা এলাকায়। ছবি: বিনোদ দাস।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা জিতলে এলাকার উন্নয়ন কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। এ দিন এর পাল্টা দিয়েছে বিজেপি।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জলেশ্বরী বাজারের কাছে হাতিয়াডাঙ্গায় প্রচারে যান গৌতম। সেখানে গৌতমের অভিযোগ, রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভায় ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় এবংলোকসভায় জলপাইগুড়িতে বিজেপির জয়ন্ত রায় জেতেন। তাঁরা এলাকার কোনও উন্নয়নই করতে পারেননি বলে অভিযোগ। তার পর থেকে এলাকাটি বঞ্চিত রয়েছে বলে দাবি।
তাঁর দাবি, এলাকার যা কাজ হয়েছিল তা সবটাই এই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি থেকে জিতে তিনি যখন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এবং পরে পর্যটন মন্ত্রী হয়েছিলেন, সে সময়কার। এ বার পঞ্চায়েত ভোটেও যদিএকটি আসনও বিরোধীরাজেতেন, তা হলে সে এলাকার উন্নয়নও একই ভাবে ব্যাহত হবে বলে তাঁর দাবি।
গৌতমের বক্তব্য, ‘‘সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের। ২০২৬ অবধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকবেন। তার পর আরও অনেক বছর তৃণমূল সরকার থাকবে। রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে এক জন সাংসদও কাজ করতে পারছেন না। এক জন বিধায়কেরও কাজ করার ক্ষমতা নেই। সুতরাং, এক জন বিরোধীও যদি পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিএবং জেলা পরিষদ নির্বাচিত হলে চিরতরে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এটা আপনাদের খুব ভাল করে অনুধাবন করা উচিত।’’
বিজেপি বিধায়ক শিখার দাবি, বিধায়ক হিসাবে তিনি যা টাকা পান, তাতে কী কাজ হয়েছে, সে হিসাব দিয়েছেন। কিন্তু গৌতম দেব মন্ত্রী থাকাকালীন কত টাকা পেয়েছেন, সে টাকায় কী কাজ হয়েছে প্রকাশ করেননি। শিখার বক্তব্য, ‘‘যাঁরা দায়িত্ব পাবেন, তাঁরা তো কাজ করবেনই। কাজ বন্ধ করার ক্ষমতা কারওনেই। ওঁদের কাজ করার মানসিকতা নেই। গৌতম দেবের ধমকচমকে কিচ্ছু হবে না।’’