তৃণমূল নেতাদের ধমক দিনহাটার আইসি সূরজ থাপার। নিজস্ব চিত্র।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার কোচবিহারের দিনহাটায় আলাদা আলাদা করে মিছিল শুরু করেছিল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। দিনহাটার আইসি ধমকে থামিয়ে দিলেন দুই পক্ষকে। উভয়পক্ষকেই এক হয়ে মিছিলের বার্তা দিলেন। ‘দবং’ আইসি-র এমন দাপটের পর অবশ্য দিনহাটা তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর মিছিল আর ‘সফল’ হয়নি।
সোমবার দিনহাটার গীতালদহ ১ নম্বর অঞ্চলের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদ। অন্য দিকে গীতালদহ ২ নম্বর অঞ্চলের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা দীননাথ বর্মণ। আজাদ এবং দীননাথ বরাবরই একে অপরের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত। কিন্তু দু’টি পৃথক মিছিলে গন্ডগোলের আশঙ্কা করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দিনহাটার আইসি সূরজ থাপা। মিছিলের দুই উদ্যোক্তাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার সুরে তিনি বলেন, ‘‘যা করার একটা করবেন। আমরা একটা করছি, ওরা একটা করছে, এটা চলবে না। যেটা হবে একটাই হবে। ঝান্ডা এক, দল এক, তো একটাই কর্মসূচি হবে। এর পর আর কোনও কথা নয়। নিজেদের মধ্যে মারামারি হোক আমরা এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে দেব না। এটা আমরা বরদাস্ত করব না। গত কাল থেকে আমি বার্তা দিয়ে যাচ্ছি। এর পর থেকে এক হয়ে কর্মসূচি পালন করবেন। আলাদা করে কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না। এর পর হয়তো গুলি চলবে, মামলা দায়ের হবে। আপনাদের ভয় নেই? গীতালদহে কী হল মনে নেই?’’
আইসি-র এই হুঁশিয়ারির পর অবশ্য দু’পক্ষই দমে যায়। প্রতিবাদ মিছিল আর এক পা-ও এগোয়নি। সম্প্রতি এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে মালদহেও। গত ২৮ মে মানিকচকের গোপালপুর-বালুপুরে জমি বিবাদ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয়। চলে গুলিও। ঘটনাস্থলে যান মানিকচক থানার সাব ইন্সপেক্টর সমীর সাহা। সেখানে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে অপশব্দ প্রয়োগ করেন তিনি। এর পর অবশ্য ‘ক্লোজড’ হন ওই অফিসার।