ফাইল চিত্র।
এক দিন আগে আলিপুরদুয়ার শহরে দলের কর্মিসভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি বন্দুকের ভয় পান না। দলীয় সূত্রে বলা হয়েছিল, সম্প্রতি কেএলও প্রধান জীবন সিংহ যে হুমকি দিয়েছিলেন, নাম না করে তারই জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারেও দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় এই প্রসঙ্গ ওঠে। সূত্রের খবর, সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, তিনি কেএলও-কে ভয় পান না। দলীয় সূত্রে দাবি, উল্টে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর স্ত্রীর দেহ আমি আনিয়েছি। ওঁর মেয়েদের আমার পুলিশই পড়ায়। ওটা আমি দেখে নেব। আমি ওদের ভয় পাই না।”
কালচিনির সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে আদিবাসী সমাজের গণবিবাহের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে রাজ্যের তিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক ও বুলু চিক বরাইক ছাড়াও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক, মৃদুল গোস্বামী, সৌরভ চক্রবর্তী বা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সভা থেকে বার হওয়ার ঠিক আগে মঞ্চেই দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই এক নেতা কেএলও প্রসঙ্গটি তোলেন। সূত্রের খবর, তা শুনেই খানিকটা ক্ষোভের সুরে মুখ্যমন্ত্রী ওই নেতাকে বলেন, ‘‘আমি আত্মসমর্পণকারী ১২০০ কেএলও-কে চাকরি দিয়েছি। ওরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে?’’ তার পরেই তিনি জীবন সিংহের স্ত্রী-কন্যার প্রসঙ্গ তোলেন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছেন কেএলও প্রধানের সঙ্গে। এর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ারে আসার আগে জীবন সিংহ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন। তারই প্রেক্ষিতে তাঁর নাম না করে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকর্মিসভায় বলেন, “আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন কয়েক জন নেতা। আমি বন্দুকের ভয় পাই না। ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে গুলি করে দাও।” এ দিন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী কেএলও-র উদ্দেশে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। বাংলার জনগণ মুখ্যমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেবেন।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।