Cooch Behar

বাড়ি থেকে দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার! ঝগড়ার পর স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী প্রৌঢ়?

কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর দেহ ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। পাশেই পড়েছিল তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীর দেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ২০:০১
Share:

কী ভাবে মৃত্যু হল দম্পতির, তা নিয়ে ধোঁয়াশা। —প্রতীকী চিত্র।

বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল স্বামী-স্ত্রীর পচাগলা দেহ। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের ২ নং ব্লকের দক্ষিণ টাকাগাছ শুংশুনি বাজার এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম বিশ্বনাথ চক্রবর্তী এবং লক্ষ্মী চক্রবর্তী। বাড়িতে সদস্য বলতে স্বামী-স্ত্রী, এই ২ জনই ছিলেন। বেশ কয়েক দিন ধরে ওই দম্পতিকে দেখতে পাননি এলাকাবাসী। সন্দেহ হয় তাঁদের। বাড়ির সামনে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর নাম ধরে ডাকাডাকি করেন কয়েক জন। কিন্তু কারও সাড়া মেলেনি। এর পর তাঁরা খবর দেন পুলিশে।

পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর দেহ ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। পাশেই পড়েছিল বিশ্বনাথের স্ত্রী লক্ষ্মীর দেহ। দুটি দেহেই পচন ধরে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় অন্যত্র থাকা দম্পতির ছেলে বিশ্বনাথের সঙ্গে। তিনি কর্মসূত্রে পুলিশের গাড়ি চালান। প্রতি দিন বাড়ি আসতে পারেন না। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসেন। সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা তাঁকে ফোন করে জানান যে, তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

কী ভাবে বাবা-মার মৃত্যু হল, এটা আত্নহত্যা নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘মাঝেমধ্যে বাবা-মায়ের ঝগড়া হত। তবে মিটেও যেত। কিন্তু বাবারর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ওঁর পা মাটিতে লেগে ছিল। তাই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইছি।’’

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ‘‘বেডরুমের মধ্যে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বিশ্বনাথ চক্রবর্তী স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement