বিয়ের পর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ রিঙ্কির বাবার। —নিজস্ব চিত্র।
হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীর মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহ জেলার ইংরেজবাজার থানার গাবগাছি যদুপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে বাড়ির ভিতর থেকে বধূর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত মহিলার নাম রিঙ্কি শীল মণ্ডল। তাঁর বাপের বাড়ি মালদহ শহরের কৃষ্ণপল্লী নেতাজি কলোনি এলাকায়। বছর কয়েক আগে যদুপুরের যুবক ছোটন মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়। পরিবার সূত্রে খবর, ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন রিঙ্কি এবং ছোটন। তাতে দুই পরিবারের সম্মতি ছিল। দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে।
রিঙ্কির বাবা বিপদ শীলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিতেন মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য মেয়েকে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করত ছোটন এবং তার বাড়ির লোকেরা। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই মেয়ের সঙ্গে গন্ডগোল হত।’’ তিনি জানান, সম্প্রতি একটি টোটো কেনার জন্য রিঙ্কির কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন ছোটন। স্ত্রীকে জোর করেন, বাপের বাড়ি থেকে যেন টাকা এনে দেওয়া হয়। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করেন রিঙ্কি। সেই টাকা না পেয়েই তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ কন্যাহারা বাবার।
জামাইয়ের শাস্তির দাবি জানিয়ে ইংরেজ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রিঙ্কির বাবা। অন্য দিকে, স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী এবং তাঁর বাড়ির লোকেরা পলাতক। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।