শিলিগুড়ি পুরভোটের প্রচারে খরচের বহরে একে অপরকে পাল্লা দিচ্ছে সংযোজিত এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডও। এইসব ওয়ার্ডগুলিতে পতাকা, ফ্লেক্স, ব্যানারের ছড়াছড়ি। অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই খাওয়া-দাওয়ার আসর বসছে। আর এই দেদার খরচ যোগাচ্ছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
৩১ থেকে ৪৭ পর্যন্ত শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচারে দেদার খরচের অভিযোগ তুলেছে। ওই এলাকার বিজেপি’র নেতা শ্যামল সাহার অভিযোগ, সন্ধ্যার পর নানা জায়গায় খাওয়াদাওয়ার আসর বসছে। বিষয়টি নিয়ে নিবার্চন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’’ তবে বিজেপির এক প্রার্থী তুফান সাহার প্রচারেও পতাকা, ফ্লেক্সের ব্যাপক ঘটায় খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও তুফানবাবু বলেন, ‘‘নিবার্চন কমিশনের নিয়ম মেনেই খরচ করা হচ্ছে।’’
৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী জয়দীপ নন্দী, ও সমীরণ সূত্রধর। দু জনেই প্রাক্তন কাউন্সিলর। ওই ওয়ার্ডগুলিতেও তাদের প্রচারে লাগামছাড়া খরচের অভিযোগ উঠেছে। ভোটের কাজে দলের হয়ে যারা খাটছেন তাদের অনেকেই দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে তাদের দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থাও থাকছে। জয়দীপবাবু অবশ্য এ ধরনের খরচের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রচারের খরচ নামমাত্র। একটি মাত্র ফ্লেক্স দলের তরফে পেয়েছি। পরিচিতদের কাছ থেকে কিছু চাঁদা তুলছি। সব মিলিয়ে হাজার দশেক টাকা খরচ হবে।
৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি’র প্রার্থী জনা বাগচী। তাঁর প্রচারেও প্রচুর পতাকা, দেওয়াল লিখন রয়েছে। জনা দেবী বলেন, ‘‘প্রচারে বিপুল খরচের ব্যাপার মোটেই নেই। দলের তরফে ছ’শোর মতো পতাকা পেয়েছি। দলের রসিদ, কুপন দিয়ে কিছু টাকা তোলা হচ্ছে। তা দিয়েই প্রচার চলছে। কমিশন থেকে খরচের যে নিয়ম বলা হয়েছে তা মেনেই কাজ হচ্ছে।’’
৩৯ নম্বরে ওয়ার্ড-এ কংগ্রেসের প্রার্থীর প্রচারেও বিপুল খরচের অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ডের কংগ্রেসের প্রার্থী প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবশঙ্কর সাহার স্ত্রী নিশা মাধুরী সাহা। দেবশঙ্করবাবু বলেন, চেনা পরিচিতেরা সাহায্য করছেন। তা দিয়েই ফ্লেক্স বানানো হয়েছে। পুরনো পতাকা ছিল। কিছু নতুন বানাতে হয়েছে।’’
প্রার্থীদের একাংশের প্রচারে বিপুল খরচ করা হলেও তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন হাত গুটিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মডেল কোড অব কনডাক্টের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক বীরবিক্রম রাই বলেন, ‘‘প্রার্থীদের খরচের হিসাব দেখার জন্য সেল রয়েছে। তারা বিষয়টি নজরে রাখছেন। প্রার্থীদেরও হিসেব দিতে হবে।’’