নিজস্ব চিত্র।
১০ দিন ধরে নিখোঁজ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! পরিবারের দাবি, নাবালিকাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মালদহের গাজলের এই ঘটনায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ এখনও নাবালিকাকে খুঁজে বার করতে পারেনি। যার জেরে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
সম্প্রতি জেলার কালিয়াচক এবং উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দুই নাবালিকার দেহ উদ্ধার ঘিরে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগে ‘অপহৃত’ নাবালিকার পরিবারের সদস্যেরা। এ প্রসঙ্গে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। ছাত্রীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে নিখোঁজ ছাত্রীর সন্ধানে খোঁজখবর করা হচ্ছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, নাবালিকাকে দ্রুত খুঁজে বার করার দাবিতে দিন দুয়েক আগে গ্রামবাসীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। নাবালিকার মা বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনের কাছে গিয়েও লাভ হচ্ছে না। মেয়েকে খুঁজে বার করায় ওদের কোনও হেলদোলই নেই। ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। পুলিশ তৎপর হয়ে আমার মেয়েকে খুঁজে বার করুক।’’ স্থানীয় ধরাই হেমব্রমের দাবি, নাবালিকাকে অপহরণ করে কোথাও আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। আমরা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি।’’
এই ঘটনায় কালিয়াগঞ্জ এবং কালিয়াচককাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, ‘‘দলদাস হয়ে গিয়েছে পুলিশ। কালিয়াগঞ্জ এবং কালিয়াচকের ঘটনাই তার উদাহরণ। আদিবাসী মেয়ে নিখোঁজ হয়ে রয়েছে। পুলিশের কাছে কোনও তথ্য নেই। খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের এমন অপদার্থতার বিরুদ্ধে পথে নামবে বিজেপি। আন্দোলন করবে।’’ পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘পুলিশ যদি কাজ না করে, উচ্চতর কর্তৃপক্ষ দেখবে। আমরা গোটা বিষয়টা মানবিকতার সঙ্গে দেখছি।’’