Coronavirus in North Bengal

বুকিং নেই, ধন্দ হোটেল খোলায়

সরকারের তরফেও হোটেল, হোম-স্টে, লজকে নিয়মিত স্যানিটাইজ় করা, দূরত্ব বজায় রেখা চলা, মাস্ক-দস্তানার ব্যবহার করা এবং আরও নানা নির্দেশের কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

এই মাসের ৮ তারিখ থেকে হোটেল, রেস্তোরাঁ, লজ বা হোম-স্টে খোলা যেতে পারে বলে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু এখনও বুকিং তো দূরের কথা, সামান্য খোঁজখবরও নেওয়া হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ফলে ৮ জুন থেকে কত সংখ্যক হোটেল-রিসর্ট খুলবে তা নিয়ে ধন্দ থেকেই যাচ্ছে। সরকারি তরফে কিছু পর্যটন আবাস খোলা হচ্ছে। সেখানে কেমন সাড়া পাওয়া যায় সেদিকেই তাকিয়ে বেসরকারি হোটেল-রিসর্ট মালিকরা। এর মধ্যেই শুক্রবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন সরকারি নির্দেশের সঙ্গে নিজেদের তৈরি নির্দেশনামা মিলিয়ে প্রকাশ করল উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম পর্যটন সংগঠন, হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম প্রোমোশন নেটওয়ার্ক (এইচএইচটিডিএন)। এখন এবং পরে হোটেল, রেস্তরাঁ বা হোমস্টে চালাতে গেলে কী কী করা জরুরি তা ওই সাত পাতার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।

Advertisement

সরকারের তরফেও হোটেল, হোম-স্টে, লজকে নিয়মিত স্যানিটাইজ় করা, দূরত্ব বজায় রেখা চলা, মাস্ক-দস্তানার ব্যবহার করা এবং আরও নানা নির্দেশের কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা ৫টি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিচ্ছি। পরিস্থিতি বদল নিয়ে আমরা আশাবাদী।’’

যেগুলি সরকারি কাজে ব্যবহৃত হয় সেগুলি ছাড়া গত আড়াই মাসে অধিকাংশ হোটেল, লজ, হোম-স্টে বা রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। তাতে প্রতিদিন ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১১ কোটি টাকায়। আগামী সোমবার, হোটেল, রিসর্টগুলি খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। পর্যটন সংগঠনের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীদের বাড়িতে বা ছুটিতে পাঠানো রয়েছে। বহু জায়গায় ঠিকঠাক বেতন দেওয়া যায়নি। দার্জিলিং পাহাড়়ের হোটেল মালিকদের সংগঠন ৩৫০টি হোটেল আপাতত খুলতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাতে ১০ হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কোনও বুকিং না থাকায় এখনই হোটেল, লজ খুলে লোকসানের বহর বাড়াতে চাইছেন না বহু মালিক। সকলেই মনে করছেন, অক্টোবর নাগাদ পরিস্থিতি বদল হবে। এইচএইচটিডিএন-র সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, এখন হোটেল, হোম-স্টে খুললেও ব্যবসা কত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু করোনার জেরে আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রেখেই আগামী কাজ করতে হবে।

Advertisement

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ডুয়ার্স বা পাহাড়ের কোথাও কোথাও স্থানীয়রা চাইছেন না যে এখনই সেখানে বাইরের লোকজন আসুক। ডুয়ার্সের গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেনর সহ সভাপতি মহাশ্বেতা রায় বলেন, ‘‘এমন আপত্তির কথা শোনা যাচ্ছে। প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement