প্রতীকী ছবি।
উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরেই চা সুন্দরী প্রকল্পে বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকদের নামের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ শুরু হল আলিপুরদুয়ারে। প্রাথমিক ভাবে চারটি চা বাগানে কলোনি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমিও চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। আবাসন ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের যৌথ পরিদর্শনের পরে আগামী সপ্তাহেই তা চূড়ান্ত করে বাকি কাজ শুরু করে দিতে চাইছেন আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক কর্তারা।
গত রাজ্য বাজেটে গৃহহীন বাগান শ্রমিকদের জন্য ঘরের ব্যবস্থার লক্ষ্যে চা সুন্দরী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। গত মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উত্তরবঙ্গের ৩৭০টি চা বাগানের গৃহহীন প্রত্যেক শ্রমিক প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। প্রথম পর্যায়ে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ৩ হাজার ৬৯৪টি ঘর তৈরি করা হবে। আলিপুরদুয়ার জেলায় হবে ২হাজার ৬৪১টি ঘর। এর মধ্যে লঙ্কাপাড়া চা বাগানে ১হাজার ১৮৪টি, মুজনাই চা বাগানে ৭৩০টি, ঢেকলাপাড়া চা বাগানে ৩৭৬টি ও তোর্সা চা বাগানে ৩৫১টি ঘর তৈরির কাজ দু’মাসে শুরু হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২৬৪১টি ঘর তৈরির জন্য চারটি চা বাগানে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। উপভোক্তাদের নামের তালিকাও তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দু’মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মূলত আবাসন দফতর বাগানগুলিতে চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘর তৈরির কাজ করবে। আগামী সপ্তাহে আবাসন দফতর ও জেলা ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা প্রকল্পের জন্য চারটি বাগানে চিহ্নিত হওয়া জমি পরিদর্শন করবেন। আলিপুরদুয়ার জেলা ভূমি সংস্কার আধিকারিক দীপঙ্কর পিপলাই বলেন, “আশা করছি, আগামী সপ্তাহে যৌথ অভিযানেই জমির বিষয়টিও সম্পূর্ণ চূড়ান্ত হয়ে যাবে।”