Holi 2020

জ্বর নিয়েই হোলির খেলায় মৌসম

পারিবারিক সূত্রে খবর, প্রথমে ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবির খেলেন তিনি। পরে ‘লেবুমামা’র সঙ্গে দেখা করে তাঁকেও আবিরে রাঙিয়ে দেন।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ০৮:৪৩
Share:

একসঙ্গে: মামা আবু নাসের খান চৌধুরীর (লেবু) সঙ্গে আবির খেললেন মৌসম। আছে মৌসমের দুই ছেলেমেয়েও। নিজস্ব চিত্র

দোল-হোলিতে প্রতি বছরেই কোতোয়ালি বাড়িতে পরিবারের সকলের সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠেন তিনি। এ বারও প্রস্তুতি ছিল। ছিল রংবেরঙের আবির।

Advertisement

কিন্তু সোমবার রাতে আচমকা জ্বর আসায় রং খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ছেলেমেয়ের আবদারে না করতে পারেননি।

মঙ্গলবার সকালে তাই গায়ে জ্বর নিয়েই ছেলে মির্জা অ্যামান নুর বেগ ও মেয়ে অ্যামাইরা নুর বেগের সঙ্গে আবির খেলায় মাতলেন মৌসম নুর। শুধু তাই নয়, কোতোয়ালি পরিবারের সদস্য, মামা আবু নাসের খান চৌধুরীকেও (লেবু) আবিরে রাঙালেন মৌসম। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কোতোয়ালি পরিবারের আরও দুই সদস্য, সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) ও বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী মালদহের বাইরে থাকায় তাঁদের সঙ্গে এদিন আবির খেলতে পারেননি জেলা তৃণমূল সভাপতি।

Advertisement

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বারই মালদহের কোতোয়ালি বাড়ির সব সদস্যরাই দোল-হোলির দিন মেতে ওঠেন রঙের খেলায়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে এ দিন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ডালু ছিলেন দিল্লিতে। সুজাপুরের বিধায়ক ইশা কলকাতায়। তাই তাঁরা বাড়ির লোকেদের সঙ্গে উৎসবে থাকতে পারেননি। আবির খেলায় মাতেন মৌসম। পারিবারিক সূত্রে খবর, প্রথমে ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবির খেলেন তিনি। পরে ‘লেবুমামা’র সঙ্গে দেখা করে তাঁকেও আবিরে রাঙিয়ে দেন।

মৌসম বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ রয়েছেন। কিন্তু উৎসবে আমরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই আবির খেলায় মেতে উঠি।’’ তিনি আরও জানান, সোমবার রাত থেকে আচমকা জ্বর আসে তাঁর। তাই হোলিতে রং-আবির খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।

মৌসমের কথায়, ‘‘কিন্তু এ দিন সকালে ছেলেমেয়ের আবদারে না করতে পারিনি। জ্বর নিয়েই আবির খেললাম। লেবুমামার সঙ্গেও আবির খেলেছি। তবে শরীর খারাপ থাকায় এ বার আর বিভিন্ন মহল্লায় গিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে হোলি খেলা হল না।’’

আবু নাসের খান চৌধুরী বলেন, ‘‘বসন্ত মানেই দোল। বয়স হলেও এই দিনে আবির খেলি। ছেলেমেয়েকে নিয়ে মৌসম এসেছিল আবির দিতে।’’

ফোনে ডালু বলেন, ‘‘আমি দিল্লিতে থাকায় বাড়িতে রঙের উৎসবে থাকা হল না।’’ ইশা অবশ্য বলেন, ‘‘বাড়িতে না থাকলেও এদিন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কলকাতায় আবির খেলেছি।’’

রবিবারই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে রাজ্যসভায় মৌসমকে দলের প্রতিনিধি করার কথা জানিয়েছিলেন। তাই কার্যত সে দিন থেকেই কোতোয়ালি বাড়িকে শুরু হয়ে গিয়েছিল বসন্ত উৎসব। এ দিন রঙে ভরল গোটা বাড়ি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement